সর্বভারতীয় মানবধিকার কাউন্সিলের তরফে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল পুরুষদের জন্য বিশেষ শাখা
নয়াদিল্লি: সর্বভারতীয় মানবধিকার কাউন্সিলের তরফে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল পুরুষদের জন্য বিশেষ শাখা। কার্যকারী সভাপতির পদে নিযুক্ত হলেন পদ্মিনী দত্ত শর্মা - এই নামটি নতুন করে কোনও পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেনা। ইনি একজন বলিষ্ঠ লেখিকা, চিত্রপরিচালক এবং সমাজসেবী যিনি বহু বই সমাজকে উপহার দিয়েছেন, ভেঙে যাওয়া মানুষের মন এবং ভেঙে পড়া মানুষদের নিজের বলিষ্ঠ মতামতের মাধ্যমে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন। এই বিভাগের সভাপতি তুহিন ভট্টাচার্য্য। র্দীঘদিন যাবৎ নিপীড়িত পুরুষদের নিয়ে তিনি কাজ করে এসেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একজন পুরুষের নামের পাশে খুব সহজেই যুক্ত করা হয়, "যে রক্ষক, সেই ভক্ষক"; কিন্তু একজন পুরুষের ক্ষেত্রে একটা কথা আমরা কখনই ভাবতে পারিনা যে, “যে সহায়, সেও অসহায়” হতে পারে ৷' তিনি আরও বলেন ‘সমাজে প্রতিটা জীবের বাঁচার অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে- এই একটাই ব্রত হওয়া উচিৎ সমগ্র মানজাতির। তিনি আরও বলেন
‘নারীদের সুরক্ষায়,নারী সুরক্ষা আইন; পরিবেশের সুরক্ষায়, পরিবেশ সুরক্ষা আইন; এমনকি পশুদের জীবন সুরক্ষিত করতে পশু সুরক্ষা আইন ও প্রবর্তিত । অথচ পুরুষের সুরক্ষার জন্য কিছুই নেই।'
পদ্মিনী দত্ত শর্মার কাছে যখন প্রশ্ন রাখা হয় ‘আপনি একজন নারী হয়েও কেন পুরুষের অধিকারের পক্ষে?'
তিনি স্বহাস্যে জানান, ‘একজন প্রকৃত নারী তো তখনই হয়ে ওটা সম্ভব যখন সেই নারীর মমত্ববোধ এবং চেতনাবোধ নিরপেক্ষ ভাবে সমাজে প্রতিফলন হয় ৷ নিজ লিঙ্গের অন্যায়কে মেনে নিলে তো রামোহন রায় বা বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীদের আমরা মনে রাখতাম না ৷তাই লিঙ্গভেদে নয় ,মানবিক তাগিদেই আমার এগিয়ে আসা একাজে।'
সহ সভাপতির পদে নিযুক্ত হলেন বীরূপাক্ষ বিশ্বাস। পেশায় ডাক্তার। পড়াশোনা করেছেন সিএমএসডিএইচ এর থেকে, আর এখন পড়াশোনা করছেন করছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ থেকে প্যাথলজি বিভাগে। স্পেশাল ইন্টারেস্ট রাখেন হেমাটলজি আর ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে। আপাতত তিনি মানুষের জন্য কোভিড পরিষেবায় নিয়োজিত। মানুষের সেবাই ওনার প্রথম এবং শেষ ভালবাসা। আশা করা যায় এই সেক্টর এও নিজের পরিষেবা দিতে পারবেন। এ ছাড়াও প্রগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসসিয়েশন এর জুনিয়র উইং এর রাজ্য সহসভাপতি ওনি।
সমাজের কাছে চরম সুখের বিষয় হোলো, এই তিনজন সমাজ সচেতন দৃঢ়চেতা মানুষ একসঙ্গে সমাজের স্বার্থে, বিশেষ করে নিপীড়িত পুরুষদের পাশে থাকার কাজে ব্রতী হয়েছেন, যেখানে পুরুষ তার সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার কথা বলতে পারবেন নির্ধিদ্বায়, পুরুষ পাবে তার রক্তক্ষরণের মর্যাদা, পেশী ও স্নায়ুতন্ত্র বিকাশের যথার্থতা, শিক্ষণীয় বাস্তবচেতনা, সুরক্ষিত মূল্যবোধ এবং সর্বোপরি মানবতা।