২০১৭-এ পেহলু খানকে পিটিয়ে খানকে (Pehlu Khan) পিটিয়ে মারার ঘটনায় ৬ অভিযুক্তকে বুধবার মুক্তি দিল রাজস্থানের একটি আদালত। পেহলু খানকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। সন্দেহের বশে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়।২০১৭-এ জয়পুরে একটি মেলা থেকে গরু কিনে ফিরছিলেন ৫৫ বছরের, দুগ্ধ ব্যবসায়ী পেহলু খান। পথে জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়তে তাঁর পথ আটকায় গো-রক্ষকরা, সেখানেই তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। তিনদিন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় পেহলু খানের (Pehlu Khan)। একটি মোবাইল ফোনে পেহলু খানকে মারধর করার ভিডিও তোলা হয়। সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিও দেখে ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আলোয়ারের আদালত জানায়, মোবাইলে তোলা ভিডিও গ্রহণযোগ্য নয়। ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া এবং তাঁকে ছুড়ে ফেলার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয় মোবাইলে। আইনজীবী হুকুম চাঁদ শর্মা বলেন, পুলিশের কাছে তাঁর প্রাথমিক জবাবন্দিতে কোনও অভিযুক্তের নাম বলেননি পেহলু খান (Pehlu Khan)। তার ফলে সুবিধা পেয়ে যায় অভিযুক্তরা।
আইনজীবী হুকুমচাঁদ শর্মার মতে, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয় আদালতে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই পেহলু খানের (Pehlu Khan) মৃত্যু বলে জানিয়েছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, এদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, আঘাত প্রাপ্ত হওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
২০১৭-এ মৃত্যুকালে যে ৬জনের নাম বলেছিলেন পেহলু খান (Pehlu Khan), তাঁদের ক্লিনচিট দেয় রাজস্থান পুলিশ।
আইনজীবী জানান, যে ব্যক্তি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন, তাঁ পরীক্ষা করা হয়নি আদালতে, এবং ভিডিওটিও অভিযুক্তদের সনাক্ত করার পক্ষে যথেষ্ঠ নয়।
ঘটনায় ২টি এফআইআর দায়ের করা হয়, প্রথমটি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে, কোনও অনুমতি ছাড়াই পেহলু খান (Pehlu Khan) এবং তাঁর ছেলে ভিন রাজ্যে গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে যে খবর রটে, তা নিয়েও একটি পৃথক এফআইআর দায়ের হয়।
পেহলু খানকে খুনের ঘটনায় ৯জনের নাম জড়ায়, তারমধ্যে তিনজন অল্পবয়ষ্ক। তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৭-এ মৃত্যুকালে যে ৬জনের নাম বলেছিলেন পেহলু খান (Pehlu Khan), তাঁদের ক্লিনচিট দেয় রাজস্থান পুলিশ। ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হওয়ায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।চার্জ থেকে মুক্তি দেওয়া ১৯ বছরের বিপিন যাদব, NDTV এর স্ট্রিং অপারেশনে গর্ব করে বলেন, পেহলু খানকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় উত্তেজিত জনাতে কীভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। NDTV এর স্ট্রিং অপারেশনের ওপর ভিত্তি করে তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করার আর্জি জানায় রাজস্থান পুলিশ, যদিও তা করেনি হাইকোর্ট।
NDTV এর সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-এ পেহলু খানের মতো প্রায় ১১০টি ঘটনা ঘটেছে. মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের।