This Article is From Jul 24, 2018

"বিচারে ভুল হয়ে গিয়েছিল", আলোয়ারের ঘটনা নিয়ে চাপের মুখে স্বীকার করল পুলিশ

ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার কনস্টেবল ও একজন অফিসারের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ক্যামেরার সামনে নিজের দোষ স্বীকার করে পুলিশ অফিসার মোহন সিংহ

হাইলাইটস

  • ক্যামেরার সামনে দোষ স্বীকার করে এক পুলিশকর্মী
  • অন্য চারজন কনস্টেবলকে বদলি করা হয়েছে
  • হাসপাতালে নিয়ে যেতে তিনঘন্টা বিলম্বের কথা স্বীকার পুলিশের
আলোয়ার, রাজস্থান:

গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার রাকবর খানকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এত দেরি হয়ে গেল কেন, তা নিয়ে উত্তাল রাজস্থান তথা গোটা দেশ। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার কনস্টেবল ও একজন অফিসারের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে রাকবর খানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তিনঘন্টা সময় লেগেছিল। আসলে যেখানে লাগার কথা ছিল মাত্র কুড়ি মিনিট। রবিবার এনডিটিভিতে এই খবর প্রকাশ করা হয়। ভোর চারটের সময় যখন রাকবর খানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইনস্পেকটর মোহন সিংহকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

বাকি চারজন কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে আছে পুলিশ ভ্যানের চালক হরিন্দরও। রাকবর খানকে লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল তাকে, জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গরু চোর সন্দেহে রাজস্থানের আলোয়ারের লাল্লাবান্ডি গ্রামে রাকবর খান ও তাঁর বন্ধু আসলামকে তাড়া করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। নিকটবর্তী গ্রাম থেকে দুটি গরু কিনে ওই দুজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ ফোন পেয়ে আকর্মণকারীদের হাত থেকে রাকবর খানকে উদ্ধার করে রাত একটা নাগাদ। কিন্তু, আহত রাকবরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে তারা প্রথমে ওই দুটি গরুকে স্থানীয় এক বাসিন্দার গোয়ালে রাখার ব্যবস্থা করে। থানায় একবার দাঁড়ায় গাড়ি নিয়ে। তারপর চা খাওয়ার জন্যও দাঁড়ায় আরেকবার। তারা রাকবরকে নিয়ে হাসপাতালে যতক্ষণে পৌঁছায়, ততক্ষণে আহত রাকবরের খান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।

4mo1b6jo

 

.