Read in English
This Article is From Jul 23, 2018

"আমরা এমএলএ'র লোক", রাজস্থানের দাঙ্গাবাজরা এমনটাই বলছিল চিৎকার করে

এই মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী রাকবরের বন্ধু আসলাম। সে শনিবার এবং রবিবার আলাদা আলাদা বয়ান দিয়েছিল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By
আলোয়ার, রাজস্থান:

ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র কুড়ি মিনিট। অথচ, গণপিটুনিতে ভয়ঙ্করভাবে জখম হওয়া ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগিয়ে দিল রাজস্থান পুলিশ। 28 বছর বয়সী রাকবর খানকে গণপিটুনি দেওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল সে। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, প্রথমে তার গরুগুলিকে ঠিক জায়গায় রাখার বন্দোবস্ত করে পুলিশ। তারপর চা আর ভাজাভুজি খেতে থামে রাস্তায়। তারপর ‘গায়ে কাদা লেগে আছে’ বলে জখম রাকবর খানকে স্নান করায় তারা। যে রাতে এই সব ঘটেছিল, তার কয়েক ঘন্টা আগে রাজস্থানের আলোয়ারের ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ রাকবর খান ও তার বন্ধু আসলামকে গরু পাচারকারী সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজস্থান সরকারকে এই গণপিটুনির বিষয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

শুক্রবার মাঝরাতে একটার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। অথচ, রাকবর খানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভোর চারটে বাজিয়ে যায়। সেখানেই তাকে চিকিৎসকরা ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন।

রাকবর খানকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এত সময় লাগল কেন, তার অনুসন্ধানের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজস্থান সরকার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, “গণপিটুনির ফলে গোটা শরীর জুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল রাকবরের। সে মারা গিয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে”।

Advertisement

এই মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী রাকবরের বন্ধু আসলাম। সে শনিবার এবং রবিবার আলাদা আলাদা বয়ান দিয়েছিল।

শনিবার আসলাম এনডিটিভিকে জানিয়েছিল, “কারা আক্রমণ করেছে তা আমি বলতে পারব না। গুলির আওয়াজ শুনেই পালিয়েছিলাম”।

Advertisement

রবিবার সন্ধেবেলা তার বয়ান আবার বদলে যায়। সে পুলিশকে একটি লিখিত বয়ান দিয়ে জানায়, সে শুনতে পেয়েছিল, ওই জনতার মধ্যে থাকা কয়েকজন চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছিল- “আমরা এমএলএ’র লোক। আমাদের কেউ কিস্যু করতে পারবে না”।

গরু পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে খুন হওয়ার এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজস্থান সরগরম। রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠে গিয়েছে। আগামী বছর এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।

 

 

Advertisement