তীর্থযাত্রাপথে একটি ল্যান্ডমাইন ও একটি স্নাইপার রাইফেল পাওয়া যায় শুক্রবার।(ফাইল)
শ্রীনগর: নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পরেই, অমরনাথ যাত্রী ও অন্যান্য পর্যটকদের জম্মু কাশ্মীর থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিল রাজ্য সরকার। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অমরনাথ যাত্রীদের টার্গেট করে, জঙ্গি হামলা হতে পারে, এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর, কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাড়িয়ে, পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, অতি সত্ত্বর উপত্যকায় তাঁদের থাকার মেয়াদ কাটছাঁট করা, এবং যতদ্রুত সম্ভব ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত”। শুক্রবার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে, পাক সেনা সমর্থিত জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে।
অমরনাথের পথে পাক সেনার ল্যান্ডমাইন, স্নিপার রাইফেলের সন্ধান পেল ভারতীয় আর্মি
শুক্রবার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, এদিন, অমরনাথ যাত্রাপথে একটি ল্যান্ডমাইন ও একটি স্নাইপার রাইফেল পাওয়া গিয়েছে। এদিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে সেনাহিনী ও জম্মু, কাশ্মীর পুলিশ। সেখানে বলা হয়, অমরনাথ যাত্রায় পাক সেনা সমর্থিত জঙ্গিরা বিঘ্ন ঘটাতে চাইলে, এই ধরণের “নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট” ছিল।
কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ডিলন বলেন, “গত তিন চারদিনে, নিশ্চিত গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল যে, পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে, এবং তারওপর ভিত্তি করেই ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে আমরা বড় সাফল্য পেয়েছি”। তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনীর তল্লাশি অভিযানে, পাকিস্তানে তৈরি করা একটি ল্যান্ডমাইন এবং টেলিস্কোপসহ একটি M-24 আমেরিকান স্নাইপার রাইফেল পাওয়া গিয়েছে। তারপরেই “অমরনাথের যাত্রাপথ তিনদিনের জন্য আরও মজবুত করা হয়েছিল”।
কাশ্মীর নিয়ে কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই আলোচনা: ট্রাম্পের প্রস্তাবের জবাবে ভারত
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিলন বলেন, “মাইন এবং অস্ত্রসহ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগের প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে”। তিনি বলেন, “আইইডি এবং তাজা বোমার হুমকি” ছিল। অমরনাথের যাত্রাপথে তল্লাশি চালিয়ে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিলন আরও বলেন, “এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। শান্তি বিঘ্নিত করতে মরিয়া পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। সেটা হতে দেওয়া যাবে না। ককাউকে শান্তি বিঘ্নিত করতে দেওয়া যাবে না”।
এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের জন্য ১০,০০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়। তাঁরা সেখানে পৌঁছানোর পথে। বেশী পরিমাণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন রয়েছে। সেই সময় ভারতে হামলা চালানোর জন্য সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলি। ফলে সতর্ক সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ।