বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। স্থগিত হল অমরনাথ যাত্রা।
হাইলাইটস
- বালতাল এবং পহেলগাঁও-এর পথ দিয়ে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত
- অনন্তনাগ জেলায় বন্যা নিয়ে সতর্কতা জারি
- দক্ষিণ কাশ্মীরে ঝিলম নদীর জলতল 21 ফুট ওপরে উঠে গিয়ে ফুঁসছে
জম্মু: ভারী বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার জন্য পহেলগাঁও যাওয়ার পথে একাধিক ধ্বস নেমে যাওয়ায় ওই পথ দিয়ে অমরনাথ যাত্রা আপাতত বন্ধ রাখা হল। বালতালের দিক দিয়ে অমরনাথ যাত্রা ঠিক একই কারণে আগের দিন স্থগিত হয়ে যাওয়ার ঠিক একদিন বাদে পহেলগাঁও নিয়েও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এছাড়া, বন্যা নিয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঝিলম নদীর জল বেড়ে গিয়ে তা 21 ফুট ওপর দিয়ে বইছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার সঙ্গমের কাছে শুক্রবার ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ঝিলম। কাশ্মীরের স্কুলগুলিও সতর্কতার পদক্ষেপ হিসাবে বন্ধ করে রাখা হবে। জম্মু পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়েছে, “অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়া এবং রাস্তাঘাটের ভয়াবহ অবস্থার কারণে বালতাল এবং পহেলগাঁও অঞ্চল দিয়ে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত থাকবে”।
তীর্থযাত্রীদের তৃতীয় দলটি নিজেদের যাত্রা শুরু করেছিল ভগবতী নগরের বেস ক্যাম্প থেকে। ওখানে থেকে যাত্রা শুরু করে পহেলগাঁও-এর রাস্তা ধরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। তারা আপাতত রয়েছে তিকরির বেস ক্যাম্পে। জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
খারাপ আবহাওয়া এবং বন্যা নিয়ে সতর্কতার কারণে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই ওই পথ দিয়ে যাত্রাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিকরি বেস ক্যাম্পের বিশাল একটি হলঘরে রয়েছে এখন তীর্থযাত্রীরা। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল প্যান্থার্স পার্টির রাজ্য সভাপতি বলওয়ন্ত সিংহ মানকোটিয়া বলেন, প্রায় 500 থেকে 700 জন তীর্থযাত্রী রয়েছে তিকরির বেস ক্যাম্পে। তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। “যে সব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে তারা, সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করছি”, বলেন তিনি।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত পিচ্ছিল পথ এবং খারাপ আবহাওয়ার জন্য কোনও তীর্থযাত্রীকেই বেস ক্যাম্প থেকে গুহার দিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। আবহাওয়া একটু ভালো হওয়ার পর ওই ব্যাপারে বিবেচনা করে দেখা হবে, বলেন তাঁরা।
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সোনম লোটাস জানিয়েছেন, বিকেলের দিকে এই আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা আছে।