This Article is From Jul 06, 2019

বামেদের ভূমি সংস্কারের কৃতিত্ব দিয়ে এর উল্টোপিঠের সমস্যা তুলে ধরলেন অমর্ত্য সেন

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ভারতের মতো দেশে টিকা প্রদানকেও অবহেলা করা হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশে, অনাক্রম্যতার মাত্রা ৯৮ শতাংশ, আমাদের দেশে তা ৬৭ শতাংশ।

বামেদের ভূমি সংস্কারের কৃতিত্ব দিয়ে এর উল্টোপিঠের সমস্যা তুলে ধরলেন অমর্ত্য সেন

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে; অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন

কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গে ভূমি সংস্কারের (land reform measures) মতো বিষয় যথাযথ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার কৃতিত্ব অবশ্যই রাজ্যের বাম সরকারের (Left Front government in West Bengal)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Nobel laureate economist Amartya Sen)। কিন্তু এই ভূমি সংস্কারেরই উলটো পিঠে থাকা এক জ্বলন্ত সমস্যার দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। অমর্ত্য সেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আগেকার বামফ্রন্ট সরকার ভূমি সংস্কারের ব্যবস্থাটি অত্যন্ত ভালো ভাবেই পরিচালনা করেছিল, কিন্তু এর উলটো পিঠেই ছিল শিল্প ধ্বংসের (destruction of industry) বিষয়টিও।” 

“মানুষ মারার অস্ত্র হয়ে উঠেছে জয় শ্রী রাম”; কলকাতায় বললেন অমর্ত্য সেন

শুক্রবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদানের সময় অমর্ত্য সেন বলেন, “যৌথ বাঙালি পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের থেকেও পিছিয়ে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই রাজ্যে ভূমি সংস্কার অত্যন্ত ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছিল এবং এর কৃতিত্ব অবশ্যই বামপন্থীদের পাওয়া উচিৎ। কিন্তু উল্টো দিকে শিল্প ধ্বংসের বিষয়টিও ছিল।” অমর্ত্য বলেন, “যৌথভাবে বাঙালি পরিচয় (combined Bengali identity) প্রকাশের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ কেন বাংলাদেশেরও পিছনে পড়ে রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।”

নিজের ছাত্রাবস্থায় মার্ক্সবাদী দর্শনে গভীরভাবেই প্রভাবিত হয়েছিলেন ৮৫ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি জানান, কেরলা, তামিলনাড়ু ও হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হলেও দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। দেশে দারিদ্র্য নিরসনের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবলমাত্র মানুষের আয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিলেই উদ্দেশ্যপূরণ সম্ভব নয়। অমর্ত্য সেনের মতে, ভারতের মতো দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা হ্রাসের ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার মতো বিষয়ই হবে প্রধান চালিকাশক্তি।

 “বিদেশে রইলে বাংলাকে জানবেন কীভাবে?” অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, “ভারতের মতো দেশে টিকা প্রদানকেও (immunisation) অবহেলা করা হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশে, অনাক্রম্যতার মাত্রা ৯৮ শতাংশ, আমাদের দেশে তা ৬৭ শতাংশ। সুতরাং বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় আমরা কেন পিছিয়ে রয়েছি।”



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.