This Article is From Aug 26, 2018

অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, খোঁচা অমর্ত্যর

তিক্ততা শুরু হয়েছিল দীর্ঘদিন আগে। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয়  সরকার ‘অসহযোগিতা’ করায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ ছাড়েন অমর্ত্য সেন।

অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, খোঁচা অমর্ত্যর

প্রতীচী ট্রস্টের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কার্যত বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিলেন অমর্ত্য।

কলকাতা:

 

তিক্ততা শুরু হয়েছিল দীর্ঘদিন আগে। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয়  সরকার ‘অসহযোগিতা’ করায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ ছাড়েন অমর্ত্য সেন। এরপর নোটবন্দি থেকে শুরু করে একাধিক ব্যাপারে কেন্দ্রের মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে শনিবার শিশির মঞ্চে তাঁর নিজের তৈরি প্রতীচী ট্রস্টের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কার্যত বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিলেন তিনি। বিজেপির হাতে গণতন্ত্র ‘অসুরক্ষিত’। তাই সমস্ত অবিজেপি এবং অসাম্প্রদায়িক দলগুলির উচিত একসঙ্গে লড়া। এমনটাই  মনে করেন তিনি। পাশাপাশি এ রাজ্যে বিজেপির দ্রুত সংগঠন বাড়ার কারণ নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর মনে হয় এর একটা কারণ সিপিএমের রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়া। জানিয়ে দিলেন এ ধরনের কথার নেপথ্যে কোনও যুক্তি নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত অবিজেপি এবং অসাম্প্রদায়িক দলকে বহু পরিশ্রম করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।                               

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন বর্গের বহু মানুষ। তাঁদের করা প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য সেন বলেন, "আমাদের উচিত সবার আগে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। মনে রাখতে হবে সাম্প্রদায়িকতার চেয়ে বড় বিপদ আর কিছু নেই।"

এই প্রশ্নোত্তর পর্বের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কোন পথে  ভারত’। সেখানে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে গত লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ  টেনে এনে তিনি দাবি করেন, 31 শতাংশ ভোট পেয়ে 55 শতাংশ আসন জিতে অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি।                   

.