সৌদি আরবের যুবরাজের ( saudi Crown Prince) ব্যক্তিগত ফোনের দ্বারাই ওই হ্যাকটি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
হাইলাইটস
- সৌদি আরবের যুবরাজের বিরুদ্ধে জেফ বেজোসের মোবাইল হ্যাকের অভিযোগ
- হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে হ্যাক করার অভিযোগ
- ওই ভিডিও বার্তাটি ছিল ‘ম্যালাশিয়াস’
নয়াদিল্লি: আমাজনের (Amazon) প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোসের (Jeff Bezos) মোবাইল ফোন হ্যাক হয়েছিল ২০১৮ সালে। হোয়াটসঅ্যাপে এক বার্তা পাঠিয়ে তাঁর ফোনের সব তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ‘দ্য গার্ডিয়ান' সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। এও জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের যুবরাজের ( saudi Crown Prince) ব্যক্তিগত ফোনের দ্বারাই ওই হ্যাকটি করা হয়েছিল! ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যাচ্ছে, সৌদি যুবরাজের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে একটি এনক্রিপ্টেড ভিডিয়ো ফাইল পাঠানো হয়েছিল জেফ বেজোসের অ্যাকাউন্টে। মনে করা হচ্ছে সেই ফাইলটিই ছিল ‘ম্যালাশিয়াস'। ওই ফাইলের দৌলতেই চুরি হয়ে যায় বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির ফোনের সব তথ্য।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ‘দ্য গার্ডিয়ান'-কে জানিয়েছেন, ওই বছরই ১ মে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা চালাচালি চলছিল দুই ব্যক্তির মধ্যে। তখনই এক অপ্রত্যাশিত ফাইল পাঠানো হয়। বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত এক ব্যক্তির মতে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেজোসের ফোন থেকে সব তথ্য বেহাত হয়েছিল। তবে ফোনে কী ধরনের তথ্য ছিল কিংবা কীভাবে তা ব্যবহার করা হয়েছিল সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, আমাজনের সিইও ও বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোস তিন দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন। এসময় তিনি দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও মন্ত্রীর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেননি তিনি। এমনও শোনা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি।
ভারত সফরে এসে জেফ বেজোস এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি ছিল, এই বিনিয়োগের ফলে ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল অবশ্য দাবি করেন, বেজোস এদেশে বিনিয়োগ করে দেশের প্রতি কোনও দয়া করছেন না।
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট'-এর সম্পাদকীয় নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ বিজেপি। বিজেপির বিদেশ বিষয়ক বিভাগের প্রদান বিজয় চৌথিওয়ালে বলেন, ওই সংবাদপত্রের ভারতের কভারেজ নিয়ে প্রচুর সমস্যা রয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে এই কাগজকে। বিশেষ করে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের কড়া সমালোচনা করে তাকে ‘বৈষম্যমূলক' বলেও দাবি করেছে মার্কিন সংবাদপত্রটি।