কেবল জুলাই থেকে নভেম্বর, যখন এদের প্রজনন বন্ধ থাকে সেই সময়ই এই মাছের দেখা মেলে রেস্তোরাঁর মেনুতে।
রিও ডি জেনেইরো: বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। এহেন মৎস্যপ্রেমী বাঙালি জাতিও একবার এই মাছ খেলে একেও আপন করে নেবে। হোক না তা সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারের মাছ। দেখতে যতই বিটকেল হোক, এর নরম ও সুস্বাদু মাংসের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। নাম পিরারুকু (Pirarucu Fish)। সুদূর আমাজনের (Amazon) বাসিন্দা এই মাছ তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ওজন হয় ২০০ কেজিরও বেশি। রিও ডি জেনেইরোর রেস্তোরাঁয় গেলে আপনারও রসনাতৃপ্তি ঘটাবে পিরাকুরু। সেখানকার এক রেস্তোরাঁ ‘হিপ ব্রাসারি রোজারিও'-র প্রধান শেফ ফ্রেডরিক মনিয়ের জানাচ্ছেন, ‘‘একে ছাড়া আর কীই বা থাকে।'' শেফ মার্সেলো বার্সেলাস একে ব্যবহার করেন মকুয়েকায়। মকুয়েকা হল পাম তেলে ভাজা এক পদ। এই মাছের স্বাদ অনেকটা লবণাক্ত জলের সাদা মাছ, যেমন পোলক বা কডের মতো।
তবে সারা বছর দেখা মেলে না এই মাছের। কেবল জুলাই থেকে নভেম্বর, যখন এদের প্রজনন বন্ধ থাকে সেই সময়ই এই মাছের দেখা মেলে রেস্তোরাঁর মেনুতে।
Diwali 2019: উৎসবের আগেই হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
সম্প্রতি ন'জন শেফ মিলে উত্তর ব্রাজিলে যান কেমন করে পাউমারি উপজাতির লোকেরা এই মাছকে খায় তা দেখতে। এবং ওই উপজাতির সংস্পর্শে আসার পরেই তাঁরা জানতে পারেন এই মাছের দেহের কোনও অংশ সবচেয়ে সুস্বাদু। পাশাপাশি তাঁরা জানতে পারেন আরও নতুন কী এই মাছের পদ রান্নার সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে।
অনন্য নজির নাসার নভশ্চরদের! স্পেসস্যুট ছাড়াই বাইরে পা কোচ, মেয়ারের
এই মাছের উপকারিতা প্রসঙ্গে অবগত হওয়ার পর গত কুড়ি বছরে প্রকল্পের মাধ্যমে এই মাছের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হয়। ১৯৯৯ সালে ২,৫০০ থেকে ২০১৯ সালে এসে সংখ্যা পৌঁছেছে ১,৯০,০০০-এ পৌঁছেছে।
আর এর জন্য ASPROC সিদ্ধান্ত নেয় মৎস্যজীবীরা যেন সঠিক প্রাপ্য পায়, যাতে তারা এই মাছের উৎপাদনে উৎসাহী হয়। কেজি প্রতি প্রায় ১.৭৫ ডলার মূল্য দেওয়া হয় মৎস্যজীবীদের। তবে রেস্তোঁরায় পরিবহন খরচ ইত্যাদি যোগ হয়ে মাছের প্লেটের দাম আরও বেড়ে গিয়েছে।