This Article is From Feb 08, 2019

৩২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছল সন্তান, ১০ মিনিটের দূরত্বেও এল না অ্যাম্বুলেন্স

একটা বাস, একটা টিউব এবং দু’খানা ট্রেন বদলে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে লন্ডন থেকে ডিভন পৌঁছে যান মার্ক, কিন্তু তখনও মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব থেকে এসে পৌঁছয় না অ্যাম্বুলেন্স।

৩২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছল সন্তান, ১০ মিনিটের দূরত্বেও এল না অ্যাম্বুলেন্স

ওয়েস্টার্ন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস অবশ্য তাঁদের পরিষেবার বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে

বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ঠিকানার দূরত্ব মাত্র ১০ মিনিটের। অথচ প্রায় চার ঘণ্টার রাস্তা উজিয়ে সমস্ত পরিবহণ মাধ্যম ব্যবহার করে এক ভদ্রলোক পৌঁছে গেলেন তাঁর অসুস্থ মায়ের কাছে, কিন্তু পৌঁছল না অ্যাম্বুলেন্স। বিবিসি জানিয়েছে, মার্ক ক্লেমেন্টস নামের ওই ব্যক্তি খবর পান তাঁর মা পড়ে গিয়েছেন, পড়ে গিয়ে কোমরও ভেঙেছেন তাঁর মা। ঠিক তক্ষুণি অ্যাম্বুলেন্সের ঠিকানায় ফোন করেন মার্ক। সময় তখন সকাল ৯ টা। তারপর একটা বাস, একটা টিউব এবং দু'খানা ট্রেন বদলে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে লন্ডন থেকে ডিভন পৌঁছে যান মার্ক, কিন্তু তখনও মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব থেকে এসে পৌঁছয় না অ্যাম্বুলেন্স।

কেন সবসময় বুকপকেটে গোলাপ রাখতেন জওহরলাল নেহেরু? গোলাপ দিবসে স্মৃতিচারণে কংগ্রেস

ডেইলি মেইল সূত্রের খবর, অ্যাম্বুলেন্সে সকাল ৯ টা নাগাদ প্রথম ফোন করেন মার্ক। মার্কের মা ৭৭ বছর বয়সী মার্গারেট তখনও ওই অবস্থাতেই পড়ে, অর্থাৎ অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় থাকতে হলে আরও সাত ঘন্টা অপেক্ষা করতে হত তাঁকে। মার্ক বলেন, “আমার মা পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে ফেলেন, ওই তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ঠান্ডা মেঝেতেই পড়েছিলেন তিনি, ওঠার শক্তিটুকু ছিল না তাঁর।” তিনি আরও বলেন, “আমার বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্স স্টেশনের দূরত্ব ১০ মিনিটেরও কম।”

মার্কের কথায়, “ওই তীব্র ঠাণ্ডায় মা'কে উষ্ণ রাখতে আমরা সবরকম প্রচেষ্টাই করি, তা সত্ত্বেও, এত ঠান্ডায়, এত যন্ত্রণায় মা একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন, মরে যেতে চাইছিলেন বারেবারে।”

চপ্পলেই নিজস্বীর সুখ? মন ভালো করা এই ছবিই এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল

ওয়েস্টার্ন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস অবশ্য তাঁদের পরিষেবার বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে ওই মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা হঠাৎ করেই এত বেড়ে যায় যে তাঁরা সামাল দিতে পারছিলেন না। রোগীর কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। যাইহোক, সৌভাগ্যবশত সমস্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও রোগীর জীবন চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

সেরে উঠছেন মার্কের মা, আগামী রবিবার কোমরের অস্ত্রোপচার হবে তাঁর।

 

 

 

Click for more trending news


.