This Article is From Mar 20, 2019

নীরব মোদীর স্ত্রী'র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করল আদালত

এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম জড়িয়েছে নীরব মোদীর বোন পূরবী, দুই ভাই নেহাল এবং নিশাল, বাবা দীপক কুমার মোদী ও তুতো বোন মিরি ভনশালীরও।

নীরব মোদীর স্ত্রী'র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করল আদালত

স্বামী দেশ ছেড়ে পালানোর পাঁচদিন বাদে ৬ জানুয়ারি মার্কিন নাগরিক অ্যামি মোদীও ভারত ছেড়ে চলে যান।

নিউ দিল্লি:

লন্ডনের হলবর্ন মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেফতার হলেন পলাতক ভারতীয় ধনকুবের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। তাঁর জামিন খারিজ করে দিল ব্রিটেনের আদালত। অন্যদিকে, মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত নীরব মোদীর স্ত্রী অ্যামি মোদীর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য পরোয়ানা জারি করল। নীরব মোদীর পরিবারের যে যে সদস্যরা গত বছরের জানুয়ারি মাসে ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অ্যামি মোদীও ছিলেন। তাঁর স্বামী দেশ ছেড়ে পালানোর পাঁচদিন বাদে ৬ জানুয়ারি মার্কিন নাগরিক অ্যামি মোদীও ভারত ছেড়ে চলে যান। গত মাসেই তাঁদের রিপোর্টে অ্যামি মোদীর নাম প্রথম উল্লেখ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাঁর নামেও অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে ৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তিনি।

এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম জড়িয়েছে নীরব মোদীর বোন পূরবী, দুই ভাই নেহাল এবং নিশাল, বাবা দীপক কুমার মোদী ও তুতো বোন মিরি ভনশালীরও।

নিজের জামিনের জন্য ৫ লক্ষ পাউন্ড অর্থ দিতে চেয়েছিলেন ৪৮ বছর বয়সী নীরব মোদী। তাঁর দাবি ছিল যে, তাঁকে আপাতত জামিন দেওয়া হোক। তিনি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করবেন। কিন্তু, সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। আপাতত তাঁকে আরও কয়েকটা দিন কাটাতে হবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের জিম্মায়।

নীরব মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত, ২৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত

এই পলাতক হিরে ব্যবসায়ী তাঁর মাসিক ২০ হাজার পাউন্ডের বেতনের স্লিপ দেখান। তিনি যে নিয়মিত কর দেন, তার প্রমাণও আদালতে পেশ করেছেন। এছাড়া, ন্যাশনাল ইনসুরেন্সের নম্বরও রয়েছে তাঁর কাছে।

তাঁর স্বপক্ষে বলতে গিয়ে নীরব মোদী জানান, গত বছরের জানুয়ারি মাসে যখন তিনি ব্রিটেনে আসেন, তখনও তাঁর নামে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ভারতের তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি এই কথাও বলেন যে, তিনি ব্রিটেনে আইনসম্মতভাবেই রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তাঁর ছেলে গত পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করেছিল লন্ডনে। তিনি এখন ওখানেই কাজ করছেন এবং নিয়মিত আয়কর দেন। আদালতের কাছে হংকং ব্যাঙ্ক সহ তাঁর অন্যান্য ব্যাঙ্কের কার্ডও দেখান তিনি।

.