বিশ্ব উষ্ণায়নে অন্যান্য রাজ্যের মতো নামছে পশ্চিমবঙ্গের জলস্তরও: মমতা
কলকাতা: ক্রমশ দেশ জুড়ে বাড়ছে জলের হাহাকার (water crisis)। মহারাষ্ট্রের পর এবার জলের তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে চেন্নাইতেও (Chennai)। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জেলাতেও নেমেছে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর। রাজ্য যাতে মহারাষ্ট্র বা চেন্নাইয়ের মতো জলকষ্টে না ভোগে তার জন্য শুক্রবার রাজ্যবাসীকে এক বার্তায় জল অপচয় বন্ধের (wastage of water) আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রসঙ্গত, এর আগে ভয়াবহ বন্যার পর সাময়িক জলকষ্ট দেখা দিয়েছিল কেরলেও। পরে সেই সমস্যা মিটলে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যকে জল দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিল কেরল। যদিও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
বাংলার চিকিৎসকদের আন্দোলনকে মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করেছে সরকার:মমতা
মমতা বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে অনেকটাই নীচে নেমে গেছে ভূগর্ভের জলস্তর। ফলে, চলতি মরশুমে রাজ্যের কিছু ব্লকেও দেখা দিয়েছে জলের অভাব। রাজ্যবাসীকে সজাগ করে জানান, "মহারাষ্ট্রের পর চেন্নাইও ভুগছে একই সমস্যায়। সেখানকার মানুষ জল পাচ্ছেন না।। একই সমস্যা দেখা দিতে চলেছে আমাদের রাজ্যও। ফলে, আমাদেরও জল অপচয় না করে সঞ্চয়ের দিকে মন দিতে হবে। রাজ্যে চালু করতে হবে জল ধরো জল ভরোর মতো প্রকল্প।" প্রসঙ্গত, ২০১১-১২ সালে বৃষ্টির জল জমিয়ে তাকে পরিশ্রুত পানীয়ের রূপ দিতেই এই প্রকল্প শুরু করেছিল রাজ্য সরকার।
এই প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, রাজ্যবাসী বিদ্যুৎ বা জলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের অপচয় বিষয়ে এখনও একেবারেই সজাগ নন।
“কাট মানি” নিয়ে ফের তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তাঁর ক্ষোভ, "রাস্তাঘাটে যাওয়ার সময় আমি দেখেছি কীভাবে জল নষ্ট হয়। জল নেওয়ার পর কল বা ট্যাপ বন্ধ করার প্রয়োজনই বোধ করেন না কেউ! আমি মনে করি আমাদের সকলকে এ ধরনের অপচয় বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। রাজ্যবাসীর কাছে একটাই অনুরোধ, নিজেদের স্বার্থে এই উদ্যোগে কোনও রাজনৈতিক রং না লাগিয়ে বরং শক্তি সংরক্ষণ করুন। পৃথিবী বাঁচান। পরিবেশ সংরক্ষণ করুন। জল অপচয় বন্ধ করুন।"
একই সঙ্গে তিনি যেখানে ভূগর্ভের জলস্তর কমে গেছে সেখানে চাষের কাজ কম করার অনুরোধ জানান চাষীদের।