করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কের মধ্যেই গত ২৯ জানুয়ারি চিনের সাংহাই থেকে রওনা হয়েছিল মালবাহী জাহাজটি, যাতে রয়েছেন ১৯ চিনা জাহাজ কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কলকাতার (Kolkata) বন্দরে এসে ভিড়বে মালবাহী চিনা জাহাজটি। জানা গেছে, জাহাজের (Chinese Ship) কর্মীদের থার্মাল স্ক্যানিং করে দেখা হবে তাঁদের কেউ জ্বরে আক্রান্ত কিনা। আপাতত কলকাতা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর দ্বীপে বন্দর কর্তৃপক্ষ চিনা জাহাজ জিনিয়াস স্টারকে (Genius Star) আলাদা করে আটকে রেখেছে ।কলকাতার বন্দরে ওই জাহাজটি ভিড়লে জাহাজকর্মীদের প্রথম দফা পরীক্ষার পর ফের আরেক দফা পরীক্ষা করা হবে,যা পরিচালনা করবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে জনস্বাস্থ্য সংস্থা ।
জাপানে আটকে থাকা জাহাজে দুই ভারতীয়র শরীরে মিলল করোনা ভাইৱাস
চিকিৎসকরা জিনিয়াস স্টার নামের জাহাজটির কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা করে দেখছেন
২৯ শে জানুয়ারি জাহাজটি সাংহাই থেকে যাত্রা শুরু করার পরে, ওই মালবাহী জাহাজের ক্যাপ্টেন নিয়মিতভাবে সমস্ত কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা সংগ্রহ করে তার রেকর্ড কলকাতার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতেন বলে জানা গেছে।
আপাতত ওই জাহাজের কোনও কর্মীর শরীরে জ্বর না থাকায় সেটিকে কলকাতা বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.৩০ নাগাদ কলকাতা বন্দরে পৌঁছবে জাহাজটি। সেখানেও কর্মীদের আরও একবার শারীরিক পরীক্ষা দিতে হবে।
করোনা আক্রান্ত জাহাজ থেকে তরুণী ভারতীয় আধিকারিকের আর্তি, ‘‘বাড়ি ফিরতে চাই''
তবে চিনে করোনা ভাইরাস ধরার পড়ার পর এই প্রথম সে দেশ থেকে কোনও জাহাজ কলকাতা বন্দরে ভিড়ল তা কিন্তু নয়। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি, চিন থেকে দুটি জাহাজ হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছয় - একটি হল এমভি রয়্যাল পেরিডোট আর অন্যটি হল এমভি নীলাম্বরী। এমভি রয়্যাল পেরিডোটে ছিলেন ২৪ জন জাহাজকর্মী, যাঁরা সকলেই মায়ানমারের বাসিন্দা, পাশাপাশি এমভি নীলাম্বরীতে থাকা ২৮ জন জাহাজ কর্মী সবাই অবশ্য ভারতীয় ছিলেন।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে চিন সহ গোটা বিশ্ব। চিনে প্রায় ৬০,০০০ মানুষের শরীরে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত চিনের মূল ভূখণ্ডে ওই মারণ ভাইরাসের কারণে কমপক্ষে ১,৩৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।