This Article is From Jun 11, 2020

"কিছুটা জেদ আর অনেক দায়িত্ব নিয়ে ফ্লোরে ফিরলাম"; শ্যুটিং শুরু করে অকপট টলিপাড়া

১১ জুন থেকে টিভি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হয়েছে। যদিও প্রথমে ১০ জুন থেকে আনলক ১.০ পর্বে শ্যুটিং শুরু করতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল

প্রায় তিন মাস পর শ্যুটিং শুরু টলিপাড়ায়।

হাইলাইটস

  • বৃহস্পতিবার থেকে শ্যুটিং শুরু হল টলিগঞ্জে। শর্তাধীনে চলছে শ্যুটিং
  • "প্রায় তিন মাস পর ফ্লোরে ফিরে অন্য অনুভূতি"; দাবি শিল্পী ও কলাকুশলীদের
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে শ্যুটিং
কলকাতা:

দীর্ঘ টালবাহানা শেষে অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে ফ্লোরে ফিরছে টলিউড (Tollywood TV shooting)। সূত্রের খবর, ১১ জুন থেকে টিভি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হয়েছে। যদিও প্রথমে ১০ জুন থেকে আনলক ১.০ পর্বে শ্যুটিং শুরু করতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রডিউসার্স গিল্ড, আর্টিস ফোরাম ও সাপ্লায়ার্স সংগঠনের টানাপোড়েনে থমকে গিয়েছিল সেই কাজ। বুধবার সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপরে মেলে সমাধান সূত্র। ঠিক হয়েছ শর্তাধীনে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করবে টলিউড। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য প্রায় তিন মাস শ্যুটিং বন্ধ ছিল টলিগঞ্জে। ১৮ মার্চ শেষবার প্যাকআপ হয়েছিল শ্যুটিং ফ্লোরে। তারপর থেকে সংক্রমণ আতঙ্কে (Amid Covid-19) বন্ধ ছিল শ্যুটিংয়ের কাজ।

8jrgdfmg

এদিকে ধাপে ধাপে সব শিল্পে বিধি শিথিল করা হলেও; টলিগঞ্জের শ্যুটিংয়ের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছিল না। চলতি মাসের শুরুতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে শিল্পী ও প্রযোজক সংস্থার মধ্যে বৈঠকে স্থির হয় দশ জুন থেকে শ্যুটিং শুরু হবে। কিন্তু শিল্পীদের স্বাস্থ্যবিমা প্রশ্নে শুরু হয় বিতর্ক। সেই টাকা প্রযোজকরা দেবে না, হাত তুলে নেয় সংশ্লিষ্ট চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ফলে আরও একতরফা টানাপোড়েনে ঝুলে থাকে শ্যুটিং ভবিষ্যত। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সেই প্রভাব পড়ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের ওপর। আর্থিক ও মানসিক ভাবে ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকেন তাঁরা। তাই বৃহস্পতিবার থেকে শ্যুটিং শুরু হওয়ায় কিছুটা আশ্বস্ত তাঁরা। এবিষয়ে বাংলা টেলিভিশন জগতের পরিচিত মুখ পারমিতা মুখোপাধ্যায় জি বাংলার লোকনাথ ধারাবাহিকের শুটিংয়ের ফাঁকে  বলেন; "এতদিন পরে আবার অ্যাকশন; কলটাইম শব্দগুলো শুনে একটা অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে। কিছুটা ভয়; অনেক দায়িত্ব আর করে দেখানোর জেদ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করলাম।"

কী কী শর্ত মানতে হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য; "ফোরাম কার্ড ছাড়া কেউ স্টুডিওতে ঢুকতে পারছে না। হয় ফোরাম নয় গিল্ড কার্ড। স্টুডিও ঢুকতে ছাড়পত্র হিসেবে লাগছে। স্টুডিও ঢোকার মুখে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে আর থার্মাল স্ক্যানিং চলছে। মেকআপ কিট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থাকলে সুবিধা। নয়তো ব্রাশ অভিনেতা-অভিনেত্রীর মেকআপ কিট মেকআপ শিল্পীর। একবার ফ্লোরে ঢুকে পড়লে সিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেরনো বারণ। বাইরের জলখাবার; চা আনা যাবে না। বুমে  চলছে সাউন্ড রেকর্ডিং। ফ্লোরে সবাই মাস্ক পড়ে। ফ্লোরে ঢুকতে গেলে আরেক দফা স্যানিটাইজেশন আর স্ক্রিনিং। মেকআপ আর হেয়ার ড্রেসাররা পুরো পিপিই কিট পড়ে।"

তিনি বলেছেন; "স্টুডিও পাড়ার টেকনিশিয়ান-সহ সব স্টুডিওতে চলছে শুটিং।" নিরাপত্তা যেহেতু নিজেদের। তাই নিজেদের মতো করেই সুরক্ষিত হয়ে একটা পরিবার হিসেবে কাজ শুরু করলাম। এমনটাই জানান ওই অভিনেত্রী।

.