প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার করোনা মহামারীর সময়ে বিনিয়োগ আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন।
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব। এরই সমান্তরালে শুরু হয়ে গিয়েছে এক বাণিজ্যিক যুদ্ধও। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে ভারতের নীতি নির্ধারকরা নতুন সম্ভাবনা দেখছেন। চিন (China) যতই বলুক তারা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে তবুও অনেক বিদেশি সংস্থা এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এর পিছনে রয়েছে আমেরিকার চিনের উপর অবিশ্বাস এবং ভারত সরকারের নিজেদের মাটিতে ওই ইউনিটগুলি নিয়ে আসার চেষ্টা। এপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে মনে করা যেতে পারে। তিনি বলেছিলেন, চিনের মোহভঙ্গ হওয়া সংস্থাগুলির জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার বিশেষ প্যাকেজ ও সুযোগসুবিধা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
লকডাউন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি
মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারি ফোরামের তত্ত্বাবধানে মার্কিন সংস্থাগুলির সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে কথা বলার সময় রাজ্যের কুটির, লঘু এবং মাঝারি উদ্যোগমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেছেন, আলোচনাটি অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। তিনি বলেন, আমেরিকা চীনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারত, বিশেষত উত্তরপ্রদেশের জন্য চিন থেকে মুখ ফেরানো মার্কিন সংস্থাগুলির সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাইছে। তারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইছে।
সুখবর! গত ২ সপ্তাহে করোনা হটস্পটের এলাকা ক্রমশই কমছে, জানাল সরকার
তিনি বলেন, ১০০টি মার্কিন সংস্থার সঙ্গে ভিডিও বৈঠক হয়েছে। সকলেই উত্তরপ্রদেশে বাণিজ্যের ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেছেন, সারা বিশ্বের চিনের প্রতি ‘ঘৃণা'-কে কাজে লাগিয়ে করোনা মহামারীর সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ বেশি করে আনার ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে।
কিন্তু চিন থেকে বিদেশি সংস্থাগুলিকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি কেবল বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার এটি নিয়ে কাজ করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার করোনা মহামারীর সময়ে বিনিয়োগ আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন। বিদেশি বিনিয়োগ কী করে আনা যায় তা নিয়ে একটি বৈঠকে তিনি আলোচনা করেন।
এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে দেশে দ্রুতগতিতে বিনিয়োগ আনা এবং ভারতীয় অভ্যন্তরীণ খাতকে উন্নীত করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সরকারি আধিকারিকরা। বৈঠকে সকলকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসতে দেখা যায়।
বৈঠকে রাজ্যগুলি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সরকারি ছাড়পত্র পেতে সহায়তা করার জন্য সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
চলতি মাসে করোনা মহামারীর সময়ে চিনা বিনিয়োগ এবং ভারতীয় সংস্থাগুলির হস্তান্তর রোধ করতে সরকার এফডিআই বিধিগুলিতে একটি বড় পরিবর্তন করেছে।
আইএমএফের হিসেব বলছে জিডিপি সম্ভবত মাত্র ১.৯ শতাংশ বাড়বে। যদিও পাশাপাশি সুখবর হল, ২০২১-২২ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হতে পারে।