দীপিকা পাডুকোন গত ৫ জানুয়ারি দিল্লির JNU ক্যাম্পাসে প্রতিবাদকারী পড়ুয়েদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য যান
ইন্দোর: কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দীপিকা পাড়ুকোনের (Deepika Padukone) উচিত দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়গুলির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করা। শুধু তাই না রামদেবের মতো ‘যোগ্য' মানুষকে তাঁর উপদেষ্টা হিসাবেও নিয়োগ করা উচিত। রামদেবই পারবেন দীপিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে “সঠিক অন্তর্দৃষ্টি” দিতে! সোমবার এমনই দাবি করেছেন স্বয়ং যোগগুরু রামদেব (Yoga guru Ramdev)। দীপিকা পাডুকোন গত ৫ জানুয়ারি দিল্লির JNU ক্যাম্পাসে হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী পড়ুয়েদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য যান। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হন তিনি, তাবড় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার মুখেও পড়েন।
'সিনেমার 'মস্তানি'র মতো কাজ করতে যাওয়া উচিত নয় দীপিকা পাডুকোনের': বিজেপি নেতা
রামদেব ইন্দোরে সাংবাদিকদের বলেন, “অভিনেত্রী হিসাবে দীপিকার দক্ষতা একেবারে অন্য বিষয়। তবে প্রথমে তার উচিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা এবং আমাদের দেশ সম্পর্কে আরও বোঝা। এই জ্ঞান অর্জনের পরে তার উচিত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া।”
“আমার মনে হচ্ছে দীপিকা পাড়ুকোনকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য স্বামী রামদেবের মতো মানুষের থাকা উচিত,” বলেন যোগগুরু। নতুন নাগরিকত্ব আইনকে তীব্র সমর্থন করে রামদেব জানিয়েছিলেন যে CAA-র সম্পূর্ণ নাম কী সেটাও জানেন না এমন মানুষও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘অকথ্য ভাষা' ব্যবহার করছেন।
"আমরা ভীত নই, আমরা গর্বিত": দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দীপিকা পাডুকোন
রামদেবের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এই আইন নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং তা প্রদান করার জন্য, তা সত্ত্বেও মানুষ এতে হিংসার ইন্ধন জোগাচ্ছেন।”
রামদেব আরও জানান যে কিছু মানুষ জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। “এমনকি তারা ‘জিন্নাহ ওয়ালি আজাদি'র (Jinnah Wali Azadi) জন্য স্লোগানও দিচ্ছেন। এই স্লোগান কোত্থেকে এসেছে? এ জাতীয় বিক্ষোভ দেশ এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে,” বলেন রামদেব।
রামদেব আরও দাবি করেছেন যে দুই কোটি মানুষ ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। “কোনও দেশকে ডাম্পিং ইয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। কোনও অবৈধ নাগরিককে ভারতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। প্রস্তাবিত এনআরসির বিরোধিতা করা প্রতিবাদকারীদের যদি বিকল্প প্রস্তাব থাকে, তবে তারা তা নিয়ে এগিয়ে আসুন।"
বীর সাভারকারের প্রশংসা করে রামদেব জানান যে তাঁকে ছাড়া ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম অসম্পূর্ণ ছিল। “মাত্র একটি বা দু'টি ঘটনার জন্য কোনও ব্যক্তির সম্পূর্ণ চরিত্রকে কলঙ্কিত করা অত্যন্ত অগভীর কাজ,” বলেন যোগগুরু।
কংগ্রেস নেতারা যেভাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরাকে ইন্দিরা গান্ধি হিসাবে তুলে ধরছেন সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে রামদেব বলেন, “যদি কোনও নাতি-নাতনি তার দাদু ঠাকুমার মতো করেই তৈরি হয়, তবে সেই বৈশিষ্ট্য সমগ্র বংশের গৌরব এবং আমরা একে স্বাগতই জানাব।”
তিনি আরও জানান যে গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য বিরোধী দলগুলির ক্ষমতাসীন দলের মতোই শক্তিশালী হওয়া উচিত।