हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jun 03, 2019

প্রবল চাপের মুখে প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন করল মোদী সরকার

নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে স্কুল পড়ুয়ারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাষায় পরিবর্তন করতে পারবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি সংঘটিত আকারে বিক্ষোভ শুরু করে

Highlights

  • নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন করল মোদী সরকার
  • পড়ুয়ারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাষায় পরিবর্তন করতে পারবে
  • হিন্দি উপর এতদিন যে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল তা থাকছে না
নিউ দিল্লি :

প্রবল চাপের মুখে প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষানীতির (New Educational Policy) খসড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন করল মোদী সরকার (Modi Govt)। নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে স্কুল পড়ুয়ারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাষায় পরিবর্তন করতে পারবে। হিন্দির (Hindi) উপর এতদিন যে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে নতুন খসড়ায়। সেখানে বলা হয়েছে নমনীয়তার নীতিকে প্রাধান্য দিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভাষা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে তিনটি ভাষার মধ্যে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা।এর আগে পর্যন্ত মানে আগের খাসড়ায় স্পষ্ট করে বলা ছিল হিন্দি (Hindi) এবং ইংরেজি (English) বাধ্যতামূলক ভাবে পড়তে হবে। হিন্দি ভাষী এবং হিন্দিভাষী নয় দু'ধরনের রাজ্যের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বলবত হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় বলা হয়েছিল।

হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া বিতর্কে সুর নরম কেন্দ্রের, আসরে নির্মলা, জয়শঙ্কর

গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি সংঘটিত আকারে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে। তামিলনাড়ুর বিরোধী দলনেতা এমকে স্টালিন  থেকে শুরু করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর স্পষ্ট করে জানান হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হলে তাঁরা তা মেনে নেবেন না। এরপর নতুন শিক্ষানীতিতে কিছুটা বদল আনল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসা আসা মোদী সরকার। প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সঙ্গীত শিল্পী এ আর রহমানও। তিনি বলেন হিন্দি কে বাধ্যতামূলক করার কোন উপযুক্ত কারণ নেই।

Advertisement

এর আগে রবিবার রণে ভঙ্গ দিয়ে কেন্দ্র জানায় কোনও রাজ্যের উপরেই হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ নিয়ে টুইট করেন। দুজনেই বলেন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শিক্ষা নীতি কার্যকর করার আগে বিচার বিবেচনা করবে সরকার। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা নীতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে চর্চা এবং বিবেচনা করুন।

দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে হিন্দির বিরোধিতা কোনও নতুন ঘটনা নয়।  ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে হিন্দির বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৫ সালে। সে সময় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যেগুলি হিন্দিভাষী রাজ্য নয় সেখানে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া কোনও ভাবেই হবে না।

Advertisement
Advertisement