This Article is From Jul 22, 2019

তথ্য জানার অধিকার আইন পাশ, স্বচ্ছতা আইন লঘু হয়ে যাবে, মত বিরোধীদের

প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারের বেতন ও মেয়াদ।

তথ্য জানার অধিকার আইন পাশ, স্বচ্ছতা আইন লঘু হয়ে যাবে, মত বিরোধীদের

বিলটিকে “আরটিআই ধংসাত্মক বিল” বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা।

হাইলাইটস

  • লোকসভায় পাশ তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল
  • বিলে তথ্য কমিশনারদের বেতন, কার্যকালের মেয়াদ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে
  • লঘু করার পাশাপাশি বিলটিকে “আরটিআই ধংসাত্মক বিল” বলেছে বিরোধীরা
নয়াদিল্লি:

বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল। এই আইনকে লঘু করে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় বিরোধীরা। বিলটিকে “আরটিআই ধংসাত্মক বিল” বলে মন্তব্য করেছে তারা। এই বিলটিকে নিয়ে আরও চিন্তাভাবনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোরও দাবি তুলেছে বিরোধীবেঞ্চ। তবে রাজ্যসভায় বিলটি সমর্থন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে সরকার সংখ্যালঘু। প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারের বেতন ও মেয়াদ। বর্তমানে তথ্য কমিশনারের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর....তবে “কেন্দ্রীয় সরকারের মতানুযায়ী মেয়াদকাল” হতে পারে। তাঁদের বেতনও নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য কমিশনারের বেতন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সমান।

বর্তমানে তথ্য জানার অধিকার আইনে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে, স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে, তাঁদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে।

যদিও সরকারের তরফে বলা হয়, তথ্য কমিশনারের কোনও ক্ষমতা কমানো হচ্ছে না, শুধুমাত্র কতগুলি বিশৃঙ্খলা ঠিক করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমরা হস্তক্ষেপ করছি না, এবং প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনে প্রভাব পড়ার মতো কিছু করা হবে না”।

দিনভর দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের যুক্তি, এর ফলে তথ্য জানানোর আইন লঘু হয়ে যাবে।

আরটিআই কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেন, “এই কমিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং  এই সংশোধনী উন্নত পিছুটানযুক্ত, কারণ, তারা এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে এবং কমিশনারের বেতন ও কার্যকালের মেয়াদ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নির্ধারণ করার ক্ষমতা দিয়ে তাদের খাঁচার তোতাপাখিতে পরিণত করতে চাইছে”।

নিখিল দে বলেন, “তাদের ক্ষমতা কমিয়ে, শর্ত, বেতন ঠিক করে, তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের আজ্ঞাবহ করে তোলা...শুধুমাত্র কেন্দ্রেরই নয়, রাজ্যের ক্ষেত্রেও, তথ্য জানার অধিকার আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক দূর্বল হয়ে পড়বে”।

.