This Article is From Jan 16, 2020

বিতর্কিত মন্তব্যের মাঝেই ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলেন দিলীপ ঘোষ

বিতর্কের মধ্যেই আবারও রাজ্য সভাপতি হলেন দিলীপ। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের আট মাস পর দিলীপ ঘোষকে দলের রাজ্য সভাপতির পদে পুনর্নিবাচিত করা হল।

বিতর্কিত মন্তব্যের মাঝেই ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলেন দিলীপ ঘোষ

ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলেন দিলীপ ঘোষ।

আবারও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।  ‘‘প্রতিবাদীদের কুকুরের মতো গুলি করে মারা উচিত।'' কয়েক দিন আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য বিতর্কের ঝড় তুলেছিল রাজনৈতিক মহলে। সেই বিতর্কের মধ্যেই আবারও রাজ্য সভাপতি হলেন দিলীপ। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির উত্থানের আট মাস পর দিলীপ ঘোষকে দলের রাজ্য সভাপতির পদে পুনর্নিবাচিত করা হল। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে পেয়েছিল মাত্র ৪টি কম আসন। এটাই এ রাজ্যে বিজেপির সেরা ফলাফল। তার আগে ২০১৪ সালে মাত্র ২টি আসন পেয়েছি‌ল তারা। সামনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে সভাপতির পদ ধরে রাখলেন দিলীপ ঘোষ।

"ওরা চাইলে আমার সরকার ফেলে দিয়ে দেখাক",NPR নিয়ে বৈঠকে থাকছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথোপকথন প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, কত জন সদস্য? আমি বলেছি ১ কোটি। আমরা ৯৮ লক্ষ করেছি। ১৭ শতাংশ ভোট থেকে ৪০ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছি আমরা। আমরা ১৮টি আসনে জিতেছি এবং দ্বিতীয় হয়েছি। পঞ্চায়েত ভোটে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। আমি জানিয়েছিলাম, আমরা ময়দান ছাড়ব না। লোকসভা নির্বাচনে আমরা বদলা নিতে পেরেছিলাম।''

রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, সিএএ-এনআরসি ভেবে দেখার পরামর্শ মমতার

সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার নদিয়ায় এক জনসভায় দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী রেলের সম্পত্তি ভাঙচুর করার জন্য গুলি চালানো ও লাঠিচার্জের হুকুম দেননি?

তিনি বলেন, ‘‘জনগণের সম্পত্তি করদাতাদের... আপনারা এখানে আসবেন, আমাদের খাবার খাবেন, থাকবেন এবং জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করবেন। এটা আপনাদের জমিদারি? আমরা আপনাদের লাঠি দিয়ে মারব, গুলি করব ও জেলে ভরে রাখব।''

তাঁর এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এমনকী তাঁর সমালোচনা করেন তাঁরই সতীর্থ বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু দিলীপ ঘোষ ক্ষমা চাননি। তিনি বলেন, তিনি যা বলেছেন ভেবেচিন্তেই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আমলে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় বহু তরুণকে গুলি করে মেরেছিলেন। পিছন থেকে গুলি করে মারা হয় তাঁদের। তখন যাঁরা উল্লসিত ছিল, এখন তাঁরা অহিংসার কথা বলছে? তাঁরা কি বুড়ো হয়ে গিয়েছেন? তাঁদের রক্ত কি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে?''  দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘দার্জিলিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘জো হামসে টকরায়েগা চুরচুর হো জায়েগা।' এগারো জন গোর্খা পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন।''

.