কুলভূষণ ভারতীয় নৌ বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ব্যবসার কাজ শুরু করেন।
হাইলাইটস
- ভারতের দাবি এতজন সিআরপিএফের মৃত্যুর জন্য দায়ী পাকিস্তান
- সোমবার আন্তর্জাতিক আদালতে আবার কুলভূষণ যাদবের মামলার শুনানি
- ভারতের দাবি ইরান থেকে তাঁকে অপহরণ করেছে পাকিস্তান
নিউ দিল্লি: কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারতের দাবি এতজন সিআরপিএফের মৃত্যুর জন্য দায়ী পাকিস্তান। এরই মধ্যে সোমবার আন্তর্জাতিক আদালতে আবার কুলভূষণ যাদবের মামলার শুনানি হতে পারে। ভারতের দাবি ইরান থেকে তাঁকে অপহরণ করেছে পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের দাবি তিনি ভারতের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করতেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানের একটি আদালত ২০১৭ সালে এপ্রিল মাসে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ভারতের দাবি তাঁকে বিচারের সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। ২০১৭ সালের মে মাসে সেই মামলা প্রথমবার শোনে আদালত। মামলার শুনানি হচ্ছে দশ সদস্যের বেঞ্চে।
কুলভূষণ ভারতীয় নৌ বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ব্যবসার কাজ শুরু করেন। সেই সূত্রেই ইরানে পৌঁছে যান তিনি। ভারতের দাবি সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করেছে পাকিস্তান। তবে পাক প্রশাসন বলছে ইরান থেকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে সেদেশে ঢুকে পড়েন তিনি।
আপাতত মামলার শুনানি হবে দু'দিন। প্রথমে সোমবার আদালতে নিজেদের বক্তব্য জানাবে ভারত। আর বুধবার সেই সুযোগ থাকবে পাকিস্তানের কাছে। ভারতের তরফে বলা হয়েছে পাকিস্তানে বিচারের নামে কার্যত প্রহসন হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে দিল্লির দাবি তারা ভিয়েনা কনভেনশনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলেছে। আগের শুনানিতে আরও বলা হয়েছিল পাকিস্তান যদি ফাঁসির সাজা দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে না পারে তাহলে সেটিকে আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননা বলে মনে করা হয়।
যাদবকে মুক্তি দিন
আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয় যাদবের। পাকিস্তানে যান তাঁর স্ত্রী ও মা। তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এখন জঙ্গি হামলার পর পরিস্থিতি আরও বড় আকার নিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। এই সংঘাতের আবহের মধ্যেই শুনানি হবে কুলভূষণের মামলার।