গত মাসের পাকিস্তানের বালাকোটে (Balakot) জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed)- ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার আক্রমণের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। যে চিত্র দেখে উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে রীতিমত তর্ক করতে শুরু করেন। কেউ বলছেন, চিত্র দেখে বোঝা যাচ্ছে, জঙ্গিঘাঁটি এখনও দিব্যি টিকে রয়েছে। অন্তত, দেওয়ালগুলো দেখে তাই মনে হচ্ছে। কেউ আবার বলছেন অন্য কথা। ইসরোর তরফ থেকে ছাড়া একটি বেসরকারি আমেরিকান উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া ছবি নিয়েই প্রশ্নগুলি তোলা হচ্ছে। সান ফ্রানসিসকোর সংস্থা প্যানেট ল্যাবের পক্ষ থেকে ছবিটি সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ার স্ট্রাইকের বেশ কয়েকদিন পরেই।
প্যানেট ল্যাবের ব্যবহার করা ১২০'টি-র বেশি ছোট উপগ্রহের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের শ্রীহরিকোটা থেকে ছাড়া হয়েছিল ২০১৭ সাল নাগাদ।
পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ এর ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক হওয়ার পরের ছবি প্রকাশ করা হল। যে ঘাঁটির অনেকটা অংশ জুড়ে বিস্ফোরণের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া, ওই জইশ শিবিরের মাটিতেও রয়েছেও বিস্ফোরণের চিহ্ন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জইশের বালাকোটের ঘাঁটিতে বারোটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে আক্রমণ করে ভারত। যে বিমানগুলিতে ছিল স্পাইস ২০০০ বোমা।
সেনার যুদ্ধবিমান বিশেষজ্ঞ অঙ্গদ সিংহের কথায়, “স্পাইস ২০০০—এর মতো শক্তিশালী বোমার ভরটি মূলত তার আধারের ওপরেই দেওয়া থাকে। তাই এ কথাটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, একটি ২০০০ আইবি শ্রেণির বোমা পাহাড়ের অর্ধেক অংশকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারবে”।
বুধবার সকালে সংবাদসংস্থা রয়টার্য এক উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারত সরকার জইশ-ই-মহম্মদের বালাকোটের ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার যে দাবি করছে, তা সত্য নয়।
ইস্ট-এশিয়া ননপ্রলিফারেশন প্রকল্পের অধিকর্তা জেফ্রি লুইস বলেন, “উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনকিছু পাওয়া যায়নি, যা থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেতে পারে যে, সেখানে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল”। যদিও, হামলার আগে ও হামলার পরে জইশ শিবিরের উপগ্রহ চিত্রের অতি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের ফলে এই ইঙ্গিত মিলেছে যে ওই শিবিরের সবথেকে বড় স্থাপত্যটিতে অন্তত চারটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।