This Article is From Jun 11, 2019

যৌন হেনস্থা এবং দুর্নীতির অভিযোগে সরতে হল দেশের এক ডজন কর-কর্তাকে

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের এক ডজন কর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হল। এঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা  থেকে শুরু করে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এই প্রথম একসঙ্গে এতজন অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

হাইলাইটস

  • কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের এক ডজন কর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হল
  • এঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা থেকে শুরু করে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে
  • শুধু তাই নয় আট জনের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে
নিউ দিল্লি:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Finance Ministry) এক ডজন কর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হল। এঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা  থেকে শুরু করে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় আট জনের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে।  সূত্রের খবর এঁরা সকলেই বড় মাপের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। এই প্রথম একসঙ্গে এতজন অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।   আধিকারিকরা সকলেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সাম্লাচ্ছেন।  এদের মধ্যে কেউ চিফ প্রিন্সিপাল কমিশনের (Chief Principle Commissioner) পদেও কাজ  করছেন বলে খবর।   তালিকায় রয়েছেন অশোক  আগারওয়াল । তিনি আয়কর দপ্তরের (IT Department) যুগ্ম অধিকর্তা। তাছাড়া ইডি (Enforcement Directorate)-র  প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর (Deputy Director) এস কে শ্রীবাস্তভ সহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ আধিকারিক রয়েছেন তালিকায়।   

বিধ্বংসী আগুন শিলিগুড়ি বাজারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টে ইঞ্জিন

 আয়করের যুগ্ম অধিকর্তা অশোক আগারওয়াল দীর্ঘদিন ধরে সাসপেন্ড হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও স্বঘোষিত  ধর্মগুরু চন্দ্রস্বামীকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। ইডির প্রাক্তন কর্তা এসকে শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ দুই মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন তিনি। সরকারি নির্দেশ নামায় বলা হয়েছে এই আধিকারিক নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়ায়  বিলম্বিত করছিলেন। 

‘‘বিজেপি যা বলছে আপনারা তাই লিখছেন'': সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন মমতা

সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে ৭৫ টি আবেদন করেছেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের  পাশাপাশি বিভিন্ন আধিকারিকের বদলি এবং পদোন্নতি নিয়েও মামলা আছে। সে কারণেই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গত দু-তিন বছর কেন্দ্রীয় সরকার আধিকারিকদের বদল করা বা পদোন্নতি দেওয়া কোনটাই করতে পারেনি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে ১৫  দিন গৃহবন্দী হয়ে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এই দুজনের পাশাপাশি হোমি রাজবংশী নামে আরও এক রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে  দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অভিযোগ।  আয়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তিনি করেছেন। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনিও বিভিন্ন জায়গায় মামলা করে নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়ায়  অকারণ দেরি করেছেন বলে অভিযোগ।  

.