This Article is From Oct 17, 2019

বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন অমিত শাহ, কটাক্ষ তৃণমূলের

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করে সরকার গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি

বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন অমিত শাহ, কটাক্ষ তৃণমূলের

সভাপতি অমিত শাহ ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন তাঁরা

কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Elections 2019) রাজ্যে ভাল ফল করার পর থেকেই, বঙ্গে পদ্ম বাগানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections 2021) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করে সরকার গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের এই লক্ষ্যকে “দিবাস্বপ্ন” বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস, বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার “দিবাস্বপ্ন” না দেখে, তাদের অর্থনীতির হাল ফেরানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে কটাক্ষ করেছে জোড়াফুল শিবির। এদিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন তাঁরা।

রাজ্যপালকে জেড প্লাস ভিআইপি নিরাপত্তা, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) বলেন, এরাজ্যে সরকার গড়ার “দিবাস্বপ্ন” দেখা বন্ধ করা উচিত অমিত শাহের। তিনি বলেন, “দিবাস্বপ্ন এবং বড় বড় কথা না বলে, বিজেপি নেতার প্রথম তাঁর নিজের দল এবং ভাল সরকারি পরিষেবার দিকে নজর দেওয়া উচিত। মোদি সরকারের ব্যর্থ আর্থিক নীতির জন্য দেশের অর্থনীতিতে বিশৃ্ঙ্খলা চলছে, এবং বিজেপির প্রথম উচিত সেদিকেই নজর দেওয়া”।

আস্থা ভোটে জয় পেয়ে নৈহাটি পুরসভাকে নিজেদের দখলে আনল তৃণমূল

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (National Register of Citizens) নামে অসম থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জোড়াফুল শিবিরের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় এনআরসি (NRC) করার চেষ্টা করছে বিজেপি, তবে রাজ্যে তৃণমূল যতদিন ক্ষমতায় রয়েছে, ততদিন এই ধরণের “বিভাজনমূলক পদক্ষেপ” করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “এনআরসির নামে রাজ্যে ভীতির সঞ্চার করতে চাইছে বিজেপি। এমনকী, এনআরসি আতঙ্কে রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে। রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে সাধারণ মানুষ”।

পূর্ব মেদিনীপুরে খুন তৃণমূল নেতা; "বিজেপির ষড়যন্ত্র", বললেন ছেলে

বিজেপি শাসিত অসমের এনআরসির (Assam NRC) চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বাঙালি হিন্দুদের একটা বড় অংশের নাম, ফলে এ রাজ্যেও তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। রাজ্যে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রে, তবে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতর, পুরসভায় গিয়ে নিজেদের জন্মসংক্রান্ত বা অন্যান্য নথিপত্র জোগাড়ে নেমে পড়েছেন বহু মানুষ।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:  

৩১ অগস্ট অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়, সেখান থেকে বাদ পড়ে প্রায় ১৯ লক্ষ  মানুষের নাম। দেশে এনআরসি কার্যকর করার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.