শ্রী ঠাকরে মিটিং-এ কৃষকদের সমস্যার কথাও আলোচনা করেছিলেন
মুম্বাই:
বুধবার অপরাহ্নে বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ শিব সেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সাথে তাঁর মুম্বাইয়ের বাস ভবনে দেখা করতে গেছিলেন। তাঁদের মৈত্রীর বন্ধন পুরানো হলেও অনেক সময়তেই তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক সম্পর্ক দেখা যায়।দুই পার্টির মধ্যে জমে থাকা মনোমালিন্যের জন্যই এই সাক্ষাৎ।
বিজেপির প্রেসিডেন্ট এবং শিবসেনা প্রধান একসঙ্গে মাতশ্রীতে বৈঠকে একের পর এক বিষয় নিয়ে ঘন্টা খানিকের ওপর আলোচনা করেন, অন্যদিকে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফেন্নাভিস বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন।
এরপর অমিত শাহ ঠাকরের বাড়িতেই মহারাষ্ট্রের খাদ্যের স্বাদ আস্বাদন করেন।
সূত্র বলছে, উদ্ধব ঠাকরে বেশ কিছু বিষয়ের উত্থাপন করেছিলেন।এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ির আমলে এনডিএ-এর সঙ্গে প্রায়ই আলোচনায় বসা হোত, কিন্তু এখন তাতেও ঘাটতি দেখা গেছে।এমনকি তিনি রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব নিয়েও যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
''এই সাক্ষাতের ফলাফল ইতিবাচক, দুই পার্টির মধ্যে অসন্তোষের যে বাতাস ঘনীভূত হয়ে উঠছিল, এরপর তা অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই সম্পর্ক আরো সুষ্ঠ করে তোলার জন্য আগামী দিনে আরও সাক্ষাতের বন্দোবস্ত করা হবে।'' বিজেপি সূত্র থেকে জানা গেছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে আগামী 2019 -এর লোকসভা নির্বাচনে তারা একসাথেই জোট বেঁধে লড়াই করবে কিনা সেই বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ উদ্ধব ঠাকরে সেই বিষয়ে এখনও কোনো রকম কথা দেননি। যদি এই দুই দল আলাদা-আলাদা রণক্ষেত্রে উপস্থিত হয়, তাহলে লাভবান হবে কংগ্রেস পার্টি এবং শরদ পাওয়ারের রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস পার্টি।
সূত্র মতে, প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ বলেছেন, যদি বিজেপির মনোভাব বদলে যায় তবে তিনি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং ফোন করবেন।
সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, শ্রী ঠাকরে মিটিং-এ কৃষকদের সমস্যার কথাও আলোচনা করেছিলেন।মহারাষ্ট্রে কৃষি সমস্যা একটা বড় সমস্যা এবং শিবসেনা এই বিষয়ে বিজেপির সাথে বহু বার আলোচনা করেছে।
বুধবার সকালে, অমিত শাহের সাথে বৈঠকে বসার আগেও শিবসেনা প্রধান বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন।2014 সালে শিবসেনা বিজেপির সাথে যোগদান করে সরকার গঠন করে, কিন্তু তারপর থেকেই বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর দৈনিক হামলার মধ্য দিয়ে সেনা ঘোষণা করেছে যে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে তাদের দল একই লড়াই করবে।