This Article is From Nov 13, 2019

‘‘শিবসেনার দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়’’: অমিত শাহ

অমিত শাহ জানাচ্ছেন, ‘‘এটা আমাদের দলের ঐতিহ্য নয় যে, বন্ধ দরজার ওপারে হওয়া কথা বাইরে প্রকাশ করে দেবে।

অমিত শাহ জানাচ্ছে, ‘‘যদি শিবসেনা মনে করে এর ফলে তারা জনতার সমবেদনা পাবে, তাহলে তারা জনতাকে জানেই না।’’

মুম্বই:

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah) বুধবার শিবসেনার (Shiv Sena) দাবিকে খারিজ করে দিলেন। জানালেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Elections) জয়লাভের পর বিজেপির সঙ্গে ভাগাভাগির মুখ্যমন্ত্রিত্বের যে দাবি শিবসেনা করছে তা ঠিক নয়। অমিত শাহ জানিয়েছেন, তাঁদের জোটসঙ্গী নির্বাচনের পরে এমন শর্ত আরোপ করতে চাইলে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমি নির্বাচনের আগে বহুবার জনসভায় বলেছি জোট জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশই। কেউ তখন এতে কোনও আপত্তি করেনি। এখন তারা নতুন দাবি নিয়ে আসছে যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।''

শিবসেনাকে সমর্থন দিলে মুখ্যমন্ত্রী পদেরও দাবি জানাবে এনসিপি: সূত্র

প্রসঙ্গত, এই প্রথম মহারাষ্ট্রের নির্বাচ‌নের পরে এই প্রথম মন্তব্য করলেন অমিত শাহ। ভাবে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার সঙ্গে তাঁদের দলের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে তার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘এটা আমাদের দলের ঐতিহ্য নয় যে, বন্ধ দরজার ওপারে হওয়া কথা বাইরে প্রকাশ করে দেবে। যদি শিবসেনা মনে করে এর ফলে তারা জনতার সমবেদনা পাবে, তাহলে তারা জনতাকে জানেই না।''

তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রধানবিচারপতির দফতর: ১০টি তথ্য

২১ অক্টোবর হওয়া নির্বাচনে বিজেপি ও শিবসেনার জোট বড় ব্যবধানেই জয় পেয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্য ঘোরতর রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তার সম্মুখীন হয়ে পড়ে ক্ষমতা বণ্টন নিয়ে দু'দলের মধ্যে তৈরি হওয়া বিতর্কে। শিবসেনার দাবি, নির্বাচনে জয়ের পরে তাদের কথা দেওয়া হয়েছিল সমান সমান ক্ষমতা বণ্টনের। কিন্তু বিজেপি এমন দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সঙ্গে জোট গড়তে চেয়েও ব্যর্থ শিবসেনা।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রকে ১৮ দিন দেওয়া হয়েছিল সরকার গঠনের জন্য। যা যে কোনও রাজ্যের জন্যই অভূতপূর্ব। রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ ফুরনোর পরেই রাজ্যপাল সরকার গঠনের জন্য দলগুলিকে আহ্বান জানান। কোনও দলই সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারার পরেই রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা ঘোষণা করেছেন।''

তিনি এই কথাও বলেন, যে কোনও দল এদিনও সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারে রাজ্যপালের কাছে, যদি তাদের কাছে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন থাকে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়ে যারা রাজ্যপালের সমালোচনা করে বলছে, পরের সরকার গড়া তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে, তাদের বলতে চাই, আপনাদের অধিকার রয়েছে কিন্তু সংখ্যা নেই।''

.