Article 370 Jammu and Kashmir: ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রতিষ্ঠাতা ফারুক আবদুল্লা
নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল কনফারেন্সের (National Conference) বর্ষীয়ান নেতা ফারুক আবদুল্লাকে আটক বা গ্রেফতার কোনওটাই করা হয়নি বলে মঙ্গলবার লোকসভায় (Lok Sabha) জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধীদের দাবি ছিল, কাশ্মীরের প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতা, যাঁদের রবিবার থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের বর্ষীয়ান নেতা ৮১ বছরের ফারুক আবদুল্লা সোমবার থেকে লোকসভায় উপস্থিত নেই। ওইদিনই ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করে সরকার। মঙ্গলবার এই প্রসহ্গে বিতর্ক চলাকালীন উঠে আসে ফারুক আবদুল্লার নাম।
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘‘ফারুক আবদুল্লা আমার পাশে বসেন এবং আজ তিনি এখানে নেই।''
সংসদে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেললেন অধীর চৌধুরী
ডিএমকে-র দয়ানিধি মারান প্রথম বর্ষীয়ান ফারুকের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গটি সকলের নজরে আনেন। তিনি বলেন, ‘‘এই কক্ষের সদস্য ফারুক আবদুল্লা নিখোঁজ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। একজন স্পিকার হিসেবে আপনার উচিত সদস্যদের রক্ষা করা। আপনার নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।''
নীরবতা ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে টুইট রাহুল গান্ধির
এরপর ফারুকের অনুপস্থিতির কথা সুপ্রিয়া সুলেও তোলেন। তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, যিনি সোমবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘‘তাঁকে আটক বা গ্রেফতার কোনওটাই করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় তাঁর বাড়িতে রয়েছেন।''
এরপর সুপ্রিয়া সুলে বর্ষীয়ান সাংসদের স্বাস্থ্যর প্রসঙ্গে তুলে জানান, তিনি সুস্থ নন। তখন অমিত বলেন, ‘‘আমি চিকিৎসক নই।''
এর আগে মঙ্গলবারই রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও তথ্য নেই ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি সম্পর্কে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি তাঁদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত নয়। ওঁরা জঙ্গি নন।'' তাঁদের মুক্তির আবেদনও করেন মমতা। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস ৩৭০ ধারা রদের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে রবিবার রাতে নজরবন্দি করে রাখার পরে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। মেহবুবাকে শ্রীনগরে একটি সরকারি অতিথি নিবাসে এনে রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা শুরু হয়। অবশেষে রবিবার গ্রেফতার করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের। এসবই করা হয় সোমবার রাজ্যসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে দিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার বিল পেশ করার প্রাক্কালে। পাশাপাশি ইন্টারনেট ও মোবাইল-ল্যান্ডলাইন ফোন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। রাজ্যে কোনও রকম জনসভা ও মিছিলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ওমর আবদুল্লা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর দল সম্ভবত সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে।