"জম্মু ও কাশ্মীর গঠনের পর থেকে সেখানে ২.২৭ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে", বলেন Amit Shah।
মুম্বই: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লোকেদের "সোনার ছাদযুক্ত বাড়ি" থাকত যদি বিগত সরকারগুলি এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া অর্থ ব্যয় করত, বললেন বিজেপি সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অমিত শাহ বলেন যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে এই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করার বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ফলে এই অঞ্চলের অগ্রগতি হবে। অমিত শাহ বলেন, "ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীর গঠনের পর থেকে ২.২৭ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে এর উন্নয়নের জন্যে। এই অর্থ যদি সত্যিই মানুষের কাছে যেত তবে তাঁদের বাড়িতে সোনার তৈরি ছাদ থাকত" । বিজেপি সভাপতি আরও বলেন যে, ৩৭০ ধারা, যা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল, সেটির কারণেই সরকারগুলি দুর্নীতি দমন ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করতে দেয়নি, কারও কারও পক্ষে এখানকার উন্নয়নের জন্য যে কেন্দ্রের তরফ থেকে যে অর্থ প্রেরণ করা হয়েছিল তা "লুট" করা সহজ হয়েছিল।
"কংগ্রেস রাজনীতি দেখছে, আমরা দেশপ্রেম দেখছি": কাশ্মীর প্রসঙ্গে অমিত শাহ
"জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ববর্তী সরকারগুলি দুর্নীতি দমন আইনের প্রয়োগ করতে দেয়নি। দুর্নীতি দমন ব্যুরোও ছিল না। জনগণের জন্য অর্থ রীতিমতো লুট করা হয়েছিল" বলেন তিনি।
অমিত শাহ আরও যোগ করেন, "৩৭০ অনুচ্ছেদ জম্মু ও কাশ্মীরের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য ছিল না। এটি আসলে সেখানকার (রাজনৈতিক নেতাদের) দুর্নীতি রক্ষার জন্য ছিল"।
অমিত শাহ একথাও বলেন যে, জওহরলাল নেহেরু জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন, এবং তারপর থেকেই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ বাড়তে থাকে। তাঁর কথায়, “৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এবং কাশ্মীরী পণ্ডিত, সুফি, এবং শিখদের, ১৯৯০ থেকে ২০০০ –এই ১০ বছরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে”।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “রাহুল গান্ধি বলেন, ৩৭০ ধারা একটি রাজনৈতিক ইস্যু। রাহুল বাবা, আপনি এখন রাজনীতিতে এসেছেন, কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির জন্য, কাশ্মীরে তিন প্রজন্ম ধরে জীবন দিয়েছে বিজেপি। আমাদের কাছে এটা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। ভারত মাকে অখণ্ড রাখতে এটা আমাদের লক্ষ্য”।
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য দায়ী জওহরলাল নেহেরু, বললেন অমিত শাহ
৫ অগাস্ট অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের ঘোষণায় কেন্দ্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি এই নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও দেয় ।
ওই পদক্ষেপের পরেই এই অঞ্চলে একটি কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা জারি করা হয়, ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লা সহ প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।