This Article is From Dec 11, 2019

"মুসলিমদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই": নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় অমিত শাহ

Citizenship Amendment Bill: "ভারতীয় মুসলিমরা সুরক্ষিত এবং নিরাপদেই থাকবেন" বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

Citizenship (Amendment) Bill: রাজ্যসভায় এই বিতর্কিত বিলটি নিয়ে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ

হাইলাইটস

  • "মুসলিমদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই": নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে বললেন অমিত শাহ
  • ভারতীয় মুসলিমরা ভারতেই থাকবেন, আশ্বাস দেন তিনি
  • অনেকেই মুসলিমদের ভুল বোঝাচ্ছেন, বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নয়া দিল্লি:

বুধবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আশ্বাসবাণী শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের উচ্চকক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি (Citizenship Amendment Bill) পেশ করে তিনি (Amit Shah) বলেন, দেশের মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই, "তাঁরা দেশের নাগরিক আছেন এবং থাকবেন"। "এই বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে এমন ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে বাস্তব ঘটনা তা নয়। এই বিলটি কেবল প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য। ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই", বলেন অমিত শাহ। "ভারতীয় মুসলিমরা সবসময় সুরক্ষিত এবং নিরাপদেই থাকবেন। আমি ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছি যে দয়া করে ভুল তথ্যের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। দয়া করে বিপথগামী হবেন না। দয়া করে ভয় পাবেন না। নির্ভয়ে এ দেশে জীবন কাটাবেন তাঁরা।"

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে ২০১৫ সালের আগে এই দেশে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সহজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার সাত ঘণ্টার বিতর্কের পরে ওই বিলের পক্ষে লোকসভায় ৩৩৪ টি  ভোট পড়ে এবং বিলের বিরুদ্ধে ১০৬ টি ভোট পড়ে। যদিও লোকসভায় পাস হয়ে যায় বিলটি।

"কিছু দল পাকিস্তানের মতো ভাষায় কথা বলছে": নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি

"কিছু লোক বলছেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে এ দেশে আসা যে কাউকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। এই তিনটি প্রতিবেশী দেশেই মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি হিসাবে বসবাস করে এবং তাঁদের সংবিধানেও ইসলাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুতরাং তাঁরা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছে না। কিন্তু কিছু লোক এ কী বলছেন? আমাদের পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত? বিশ্বের সমস্ত মুসলিমদের কি আমাদের নাগরিক বানানো উচিত? এটা কীভাবে হতে পারে? একটি দেশ কীভাবে এই ভাবে কাজ চালাতে পারে",প্রশ্ন করেন অমিত শাহ।

কংগ্রেস সহ বেশ কিছু বিরোধী দল এই বিলটির তীব্র সমালোচনা করেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অমুসলিম পাকিস্তানি, আফগান, এবং বাংলাদেশীদের ভারতীয় নাগরিক করার রাস্তা সহজ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিলটিকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করে বিরোধীরা বলেন এটি দেশের সংবিধানের সাম্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে লঙ্ঘন করে।

"সিএবি আসলে মোদি-শাহ সরকারের জাতির ভিত্তিতে উত্তর-পূর্বকে সাফাই করার একটি প্রয়াস। এটি উত্তর পূর্বের উপর, তাঁদের জীবনযাত্রা এবং ভারতের ধারণার উপর একটি অপরাধমূলক আক্রমণ। জাতীয় সংহতির প্রশ্নে আমি উত্তর পূর্বের জনগণের পাশে রয়েছি", টুইট করেন কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধি।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বে "জাতির ভিত্তিতে সাফাই" করতে চাইছে কেন্দ্র, টুইট রাহুল গান্ধির

অমিত শাহ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের এই ব্যাখ্যাকে খারিজ করে দিয়েছেন। "বিরোধীরা অসমকে তাঁর সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মাধ্যমে বিবেচনা করছে। তবে আমাকে একটা কথা বলুন, স্বাধীনতা ও অসম চুক্তির পর থেকে কী করা হয়েছিল এখানকার জন্যে? আমি আপনাদের কাছে সত্যি বলব ... এ বিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়নি। এতবছর ধরে আপনারা কী করেছেন", নাম না করে কংগ্রেসের দিকে পাল্টা আঙুল তুলে প্রশ্ন করেন অমিত শাহ।

"২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথমবার সেখানকার জন্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি দেখিয়েছে যে অসম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে রক্ষা করতে আসলে কারা প্রকৃত অর্থে ভাবনাচিন্তা করছেন"।

দেখে নিন এই খবরগুলিও:

.