This Article is From Dec 22, 2019

সিএএ প্রত্যাহার না করলে অমিত শাহকে পা রাখতে দেবো না: সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি

রাজ্যের এই মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পথে নেমে এই আইনের বিরোধিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন

সিএএ প্রত্যাহার না করলে অমিত শাহকে পা রাখতে দেবো না: সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি

কলকাতায় তাঁর দল জমিয়তে উলেমা হিন্দের এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি (ফাইল)

কলকাতা:

অবিলম্বে সিএএ প্রত্যাহার করা হোক। না হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে বেড়তে দেওয়া হবে না। রবিবার রানি রাসমনি রোডের এক জনসভায় এমন হুঁশিয়ারি শোনা গেল রাজ্য গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির গলায়। এদিন কলকাতায় তাঁর দল জমিয়তে উলেমা হিন্দের এক জনসভা থেকে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “আমরা উনাকে (পড়ুন শাহ) প্রয়োজনে শহরের বিমানবন্দরের বাইরে বেড়তে দেব না। উনাকে থামাতে একলক্ষ মানুষকে জড়ো করবো। আমাদের লড়াই গনতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ। হিংসায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমরা সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদ করবো।  গ্রন্থাগারমন্ত্রী দাবি করেছেন, কলকাতা-সহ দেশব্যাপী চলা আন্দোলন দেখুন। বিজেপি-কে মানুষ প্রত্যাখান করেছে। তাঁর টিপ্পনি, ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশের মানুষকে পথে নামিয়েছেন। ঘৃণা ও বিভেদের রাজনীতি দিয়ে দেশকে ভাগ করতে চাইছেন তিনি।

তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “দেখুন ওরা কীভাবে একটার পর একটা সিদ্ধান্ত মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন। ওরা আলোচনা, সমঝোতায় বিশ্বাসী নয়। আমরা এটা কিছুতেই চলতে দেবো না।” রাজ্যের এই মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পথে নেমে এই আইনের বিরোধিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিকে সিএএ ও এনআরসি- বিরোধী আন্দোলনের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গোটা দেশ থেকে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে প্রায় ২০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে। আটক ও গ্রেফতারি মিলিয়ে সংখ্যাটা শতাধিক। দেশের একাধিক মেট্রো শহরে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্টারনেট। তাতেও দমছে না নাগরিক আন্দোলন।

সিএএ আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর উত্তর-পূর্বে প্রথমে প্রতিবাদ শুরু হয়। সে রাজ্যগুলির যাঁরা আদিবাসী; নতুন আইনে তাঁদের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। এমনকী তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বও হারাতে পারে। সেই সংশয় থেকে দীর্ঘ একসপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিল অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলো। পিছিয়ে ছিল না পশ্চিমবঙ্গও। ট্রেনে হামলা, পথ অবরোধে রুদ্ধ হয়েছিল সে রাজ্য। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশ থেকে হিংসার কারণে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের প্রধান শাসক বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিএএ-র খসড়ায় বলা আছে; দেশের নাগরিকদের এই প্রথম নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এই আইন সে সব সংখ্যালঘুদের সাহায্য করবে যাঁরা ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫-র আগে শরণার্থী হয়ে এদেশে এসেছে। যদিও সমালোচকরা বলছে এই আইন ভারতের মৌলিক ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর পরিপন্থী।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.