পুনম মহাজন জানান, “আমরা ওঁর আসল রূপটা রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরব”।
নিউ দিল্লি: আগামী 11 অগস্ট, শনিবার, কলকাতায় সমাবেশ করতে আসছেন অমিত শাহ। বিজেপি যুব শাখার প্রধান পুনম মহাজন আজ বলেন, এই সমাবেশের মূল লক্ষ্য, এনআরসি ইস্যু নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যাওয়ার ঘটনাটিকে অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে জনসমক্ষে নিয়ে আসা।
এগারোই অগস্টের সমাবেশের আয়োজক ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ( বিজেওয়াইএম)। ওই সমাবেশের প্রধান অতিথি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আজ এই কথা জানান পুনম মহাজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সংসদে মুখ খুলেছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ওই সময় ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। রাজ্য সরকার বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কেন আটকে দিচ্ছে না, তা নিয়ে সংসদ ভবন তোলপাড় করেছিলেন মমতা। আজ সেই তিনিই পুরোপুরি সুর পালটে কথা বলতে আরম্ভ করেছেন এনআরসির বিরুদ্ধে, যার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে এই দেশে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকে রুখে দেওয়া।
পুনম মহাজন বলেন এই চূড়ান্ত ভোলপাল্টে ফেলার জন্য তিনি মমতাকে শুধু ‘দিদি’ না ডেকে ‘ইউ টার্ন দিদি’ বলে ডাকতেই বেশি পছন্দ করবেন। তিনি জানান, “আমরা ওঁর আসল রূপটা রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরব”।
গত কয়েকদিন ধরেই এনআরসি নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা তুঙ্গে উঠেছে। মমতা বলেন গেরুয়া বাহিনীর জন্য এই দেশ গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত হয়ে যাবে। সেইদিকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছে তারা দেশকে। এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা অসমের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বয়ান অনুয়ায়ী, অসমের থেকেও বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে কয়েকগুণ বেশি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া দলের লক্ষ্য ইতিমধ্যেই স্থির করে দিয়েছেন অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের মোট বিয়াল্লিশটি লোকসভা আসনের মধ্যে বাইশটি লোকসভা আসনে জেতার লক্ষ্য দলের জাতীয় সভাপতি স্থির করে দেওয়ার পর রাজ্য বিজেপির নেতা কর্মী ও সমর্থকরা প্রত্যেকেই দারুণভাবে চাঙ্গা হয়ে রয়েছেন আসন্ন লড়াইয়ের জন্য।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)