Citizenship Act: ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ
হাইলাইটস
- নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদকে কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ
- উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের প্রতি আশ্বাসবাণী তাঁর
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকার অক্ষত থাকবে
ঝাড়খণ্ড: বৃহস্পতিবারই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, আর তারপরেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে আরও বেশি করে আছড়ে পড়েছে এই আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ঝড় (Citizenship Act Protests)। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রাজ্যগুলির নিজস্ব সংস্কৃতি, সামাজিক পরিচয়, ভাষা ও রাজনৈতিক অধিকার অক্ষত থাকবে, এমনটাই বললেন তিনি (Amit Shah)। পাশাপাশি এই পরিস্থিতির মধ্যেই যেভাবে শনিবার নয়া দিল্লির রামলীলা ময়দানে "ভারত বাঁচাও" মেগা সমাবেশের আয়োজন করেছে কংগ্রেস, তা নিয়েও বিরোধী দলকে (Congress) কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। নাগরিকত্ব আইনের পরে কংগ্রেসের "পেট ব্যথা" করছে, তীর্যক ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
''দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচানোর সময় এসে গেছে'': সনিয়া গান্ধি
"আমি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে আশ্বাস দিচ্ছি যে তাঁদের সংস্কৃতি, সামাজিক পরিচয়, ভাষা এবং রাজনৈতিক অধিকারগুলি অক্ষত থাকবে এবং নরেন্দ্র মোদি সরকার তাঁদের রক্ষা করবে", ঝাড়খণ্ডের একটি নির্বাচনী সমাবেশ থেকে এ কথাই বলেন অমিত শাহ।
বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে কয়েকটি জায়গায় জারি করতে হয় কারফিউ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী তিনটি দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিম অভিবাসীরা সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
তবে আশার কথা, গত কয়েকদিনের চরম উত্তেজনার পর অসমের গুয়াহাটিতে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে নাগাল্যান্ডে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) ছয় ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করে সেখানে। তার জেরে এলাকার স্কুল-কলেজ, বাজার বন্ধ ছিল এবং বেশিরভাগ রাস্তা বন্ধ থাকায় স্তব্ধ ছিল যান চলাচলও।
বাংলায় এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইন কোনটাই হবে না, উত্তেজনা ছড়াবেন না: মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় কারফিউ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাঁর ভারত সফর বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন তাঁদের দেশের নাগরিকদের প্রতি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছেন যাতে তাঁরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভারতীয় রাজ্যগুলিতে এই মুহূর্তে বেড়াতে না আসেন।
তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত বাংলায় শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে রেল ও সড়ক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। একটি রেল স্টেশন কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারে আগুন দেওয়া হয়। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়কও। বিক্ষোভকারীরা তিনটি সরকারি বাস সহ ১৫ টি বাস জ্বালিয়ে দেয়।
এদিকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ হয়, উত্তাল হয় পরিস্থিতি। বেগতিক দেখে সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
দেখে নিন এই ভিডিও: