এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
হাইলাইটস
- আমফান দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত সন্দেশখালি ও পাথরপ্রতিমা ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল
- বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসেছেন আন্তঃরাজ্য মন্ত্রী পর্ষদের এই দল
- ৭ সদস্যের এই দলের নেতৃত্বে অনুজ শর্মা
কলকাতা: ঘোষণা মেনেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যে পা রেখেছে আন্তঃমন্ত্রী পরিষদীয় দল বা আইমএমসিটি (IMCT in Bengal)। ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় এই পরিদর্শক দল আমফান বিধ্বস্ত রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তারা ঘুরে দেখছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা। শুক্রবার দুটি দলে ভাগ হয়ে কেন্দ্রীয় পরিদর্শকরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেছেন। জানা গিয়েছে, আইএমসিটি'র এই দলের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অনুজ শর্মা। দুটি দল সূচি মেনে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা পরিদর্শন করেন। ২০ মে'র ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে এই দুই জেলা। প্রায় দু'সপ্তাহ বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগহীন জীবন কাটিয়েছেন আবাসিকরা। এমনটাই স্থানীয় স্তরে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছে পরিদর্শক দল। তারা জলপথে পরিদর্শন করেছেন সন্দেশখালি এক ও দুই নম্বর ব্লক। একইভাবে দ্বিতীয় দল আকাশপথে পাথরপ্রতিমা পৌঁছয়। দক্ষিণ জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলেছেন সসদস্যরা। জলপথে পরিদর্শন করেন বিপর্যস্ত এলাকা। এর আগে ২২ মে রাজ্য সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আকাশপথে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। আগাম হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করে গিয়েছিলেন তিনি।
গত ২০ মে রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল আমফান। তার দাপটে বিভিন্ন জেলায় ৯৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে বহু সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কিছুদিন আগেই রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই তিনি ঘোষণা করেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এক হাজার কোটি টাকা ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা মতোই রাজ্যকে ওই অর্থসাহায্য পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে যায় রাজ্যের বহু অঞ্চল। জনজীবন ব্যাহত হয়। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু অঞ্চলে। এমনকী কলকাতাতেও গাছ পড়ে ও জল জমে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।