This Article is From Aug 23, 2018

বলের ভিতর প্রাণঘাতী গ্যাস ভরে হত্যা স্ত্রী-কন্যাকে

তাঁর স্ত্রী ও 16 বছরের কন্যার দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছিল একটি হলুদ রঙের বদ্ধ মিনি কুপারের ভিতর থেকে।

বলের ভিতর প্রাণঘাতী গ্যাস ভরে হত্যা স্ত্রী-কন্যাকে

এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়ে গিয়েছিল পুলিশ।

হংকং:

বহু বিচিত্র উপায়ে হত্যা করার বহু কাহিনীর কথা আমরা শুনেছি। দেখেছি চলচ্চিত্রে। পড়েছি গল্প-উপন্যাসে। তা পড়ে বা দেখে বা শুনে শিউড়েও উঠেছি অনেকবার। ওই শিউড়ে ওঠার মূল কারণ একটাই। ঘটনাগুলি দৃশ্য বা শ্রাব্যমাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছানোর পরে প্রথমেই যা সৃষ্টি হয়েছে, তা হল, অভাবিত বিস্ময়। পরক্ষণেই তা বদলে গিয়েছে আতঙ্কে। সেই বিস্ময়াতঙ্কের একটি ঘটনাই ঘটে গিয়েছিল বছর খানেক আগে হংকং-এ। ও দেশের এক অ্যানাস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে যোগ ব্যায়াম করার বলের ভিতর কার্বন মনোক্সাইড ঢুকিয়ে হত্যা করেছিলেন। অত্যাশ্চর্য ও হাড় হিম করা ঘটনাটি নিয়ে মামলার সাক্ষী থাকল হংকং-এর আদালত। আইনজীবীরা আদালতকে জানান, খাউ কিম-সুন নামের ওই অ্যানাস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞের স্ত্রী ও কন্যা একটি গাড়ি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। গাড়ির ভিতরেই মারা যান দুজন। গাড়ির ভিতরেই একটি বল ফুটো করে তার ভিতর অতি বিষাক্ত এবং প্রাণঘাতী কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ঢেলে দিয়েছিলেন খাউ কিম-সুন।

তাঁর স্ত্রী ও 16 বছরের কন্যার দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছিল একটি হলুদ রঙের বদ্ধ মিনি কুপারের ভিতর থেকে। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়ে গিয়েছিল পুলিশ।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ওই দুজনের শরীরের ভিতরেই শ্বাস নেওয়ার সময় কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস প্রবেশ করায় তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনাচক্রে, যে হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়, সেই হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ হিসেবেই কাজ করতেন খাউ কিম-সুন।

তদন্তে নেমে পুলিশ ওই হলুদ মিনি কুপারের পিছন থেকে খুঁজে পেয়েছিল একটি বল।

বুধবার দিন সরকারি পক্ষের উকিল জানান 53 বছর বয়সী মালয়েশিয় নাগরিক খাউ কিম-সুনের নিজের এক ছাত্রীর সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদে যেতে রাজি ছিলেন না।

দক্ষিণ চিনের মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নিজের স্ত্রী’কে হত্যা করেছিলেন তিনি।

যদিও, সরকারি উকিল এই কথাও জানান যে, নিজের কন্যাকে খুব ভালোবাসতেন খাউ কিম-সুন। তাকে হত্যা করতে চাননি তিনি কোনওভাবেই। হলুদ রঙের ওই মিনি কুপারের ভিতর সেদিন কেবল একা থাকার কথা ছিল তাঁর স্ত্রী’র। গাড়িটি ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে মেয়েও উঠে এসেছিল মায়ের কাছে…

.