সাংবাদিক সম্মেলন করেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।(ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: শেষবেলার ঘন্টা বেজে এই বছরের মতো সমাপ্ত হল ৪৩-তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা। এই বছরের বইমেলায় আনুমানিক লোক হয়েছিল ১৬ লক্ষ। এছাড়া, এই বছর মোট বইবিক্রির পরিমাণ শনিবার পর্যন্ত ছিল ১৫ কোটি টাকা। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানাল বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ড। সোমবার বইমেলার শেষের দিন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "যা তথ্য আমাদের হাতে এসেছে এবং যেরকম মানুষের ঢল দেখতে পারছি এই বছরের মেলাপ্রাঙ্গন জুড়ে, তাতে একটা কথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, শেষ দু'দিন, অর্থাৎ রবি ও সোমবারের বিক্রির সম্পূর্ণ হিসেবটা আমাদের হাতে এলে নিশ্চয়ই এটুকু দেখতে পারব যে, গতবারের থেকেও বেশি বিক্রি হয়েছে এ বারের বইমেলায়। অঙ্কটা ২০ কোটি টাকা ছাড়াবে বলেই আমাদের বিশ্বাস"।
শুভ জন্মদিন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, কবিতার মধ্যে সিনেমা আর সিনেমার মধ্যে কবিতার আজব কিসসা
প্রসঙ্গত, গতবারের মেলার পর হিসেবনিকেশ করে দেখা গিয়েছিল, বিক্রির অঙ্কটা ২০ কোটি ছুঁয়ে গিয়েছে।
এই বছর বইমেলা থেকে নদীয়া জেলার এক বাসিন্দা মোট ২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার বই কিনেছেন। তাঁকে সংবর্ধনা দেবে গিল্ড। এমন বইপ্রেমিক মানুষদের এরকম বইয়ের প্রতি আগ্রহ কমতে থাকা সময়টিতে অবশ্যই আলোর সামনে নিয়ে আসা উচিত। জানান গিল্ডের ডিরেক্টর এবং প্রখ্যাত প্রকাশক সুধাংশ শেখর দে। প্রসঙ্গত, কে এত টাকার বই কিনে এই সম্মানটি পাবেন গিল্ডের পক্ষ থেকে, তা জানা যাবে কয়েকদিন বাদেই। গিল্ডের পক্ষ থেকেই নাম ঘোষণা করা হবে তাঁর।
এই বছর বইমেলার ‘থিম কান্টরি' ছিল গুয়াতেমালা। ওই দেশের দূত জিওভান্নি ক্যাস্টিল্লো বলেন, এখানে আমি কোনও দেশের দূত হিসেবে নয়, এসেছিলাম কলকাতাবাসীর বন্ধু হয়ে। এমন একটি অপূর্ব বইমেলার থিম কান্ট্রি করা হয়েছে আমার দেশকে, সেটা ভেবেই আমি যারপরনাই আপ্লুতবোধ করছি। অত্যন্ত গর্ব অনুভব হচ্ছে। কলকাতাবাসীর জয় হোক!
প্রমিস ডে: প্রমিস করুন এবার নিজেকে ভালো রাখবেন
ঘন্টা বেজে যায়। বইপ্রেমীরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। কেউ গেয়ে ওঠেন গান। লিটল ম্যাগ প্যাভিলিয়নের সামনে এক বয়স্ক ব্যক্তি এক তরুণ কবিকে বললেন, "পরের বছর আসতে পারব তো আমি? কবি আশ্বাস দিলেন, পারবেন। নিশ্চয়ই পারবেন"। তরুণ কবিকে জড়িয়ে ধরলেন প্রবীণ। শেষ ঘন্টার শেষ শব্দের রেশ তখনও বাতাসে। সেই বাতাসকে গায়ে নিয়েই সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ওই প্রবীণ মানুষটি। ধীরে। নিঃশব্দে। পরের বছর ফের আসার স্বপ্ন এবং আর কখনওই না আসতে পারার দুঃস্বপ্ন- এই দুই আপৎকালীন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে।