“পরীক্ষায় ১০-এ ১০ পাওয়াটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, ১০-এর মধ্যে ১১ পাওয়া। যখন আমি ইস্কুলে ছিলাম, তখন আমার বাবা আমাকে হামেশাই একথা বলতেন।” এতকাল পরে বাবার কথা সত্য প্রমাণ করে দেখালেন ম্যাক্রোইকোনমিক্সের পড়ুয়া অঙ্কুর গর্গ। তাও হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়! মোট ১৭০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৭১ নম্বর পেয়েছেন তিনি। তাঁর ফেসবুক পোস্টে স্কোর কার্ডের একটি ছবিও রয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর প্রাপ্ত নম্বরের উপর সই করেছেন জেফ্রি ফ্রাঙ্কেল, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। আইআইটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং ২00২ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার অঙ্কুর গর্গ প্রমাণ করেছেন বাবার কথা আকাশকুসুম নয়, বরং জীবনের সেরা প্রাপ্তি।
মোটা হওয়া নিয়ে সচেতন নয় পড়ুয়ারা! রাজ্যের স্কুলে পাঠ্যক্রমে যোগ হচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা
এই সাফল্যের কৃতিত্ব বাবাকে উৎসর্গ করে ২২ ডিসেম্বরে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অঙ্কুর গর্গ লিখেছিলেন, "আজকে জীবনে ছাত্রদশার শেষ পর্যায়ে (সম্ভবত!) আমি এই নম্বরটি পেয়েছি (১৭০-এর মধ্যে ১৭১!) ম্যাক্রোইকোনমিক্স কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায়। আরও বড় বিষয় হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং জেফ্রি ফ্রাঙ্কেল নিজে সই করেছেন রিপোর্ট কার্ডে!”
ফেসবুকে অঙ্কুর গর্গ তাঁর প্রাপ্ত নম্বরের একটি স্ক্রিনশট তুলে ধরেছেন
শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, তার দিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নজর রাখতে বললেন রাজ্যপাল
বিশিষ্ট এবং নেতৃস্থানীয় ম্যাক্রোঅর্থনীতিবিদ জেফ্রি ফ্রাঙ্কেল হাভার্ড ইউনিভার্সিটির কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্টের ক্যাপিটাল ফরমেশন অ্যান্ড গ্রোথের জেমস ডব্লিউ হার্পেল প্রফেসরও। ফেসবুকে অঙ্কুর গর্গ যে ছবিটি শেয়ার করেছেন, তাতে সহজেই দেখা যাচ্ছে পৃষ্ঠার একেবারে বাম কোণে ‘১০১%' লেখা রয়েছে। অঙ্কুরের প্রাপ্ত নম্বরগুলিও সেখানে রয়েছে।
এই পরীক্ষাটি 'আন্তর্জাতিক উন্নয়ন' প্রোগ্রামের অংশ ছিল এবং অঙ্কুর বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়েই অধ্যয়ন করছেন।
অঙ্কুর গর্গ অবশ্য বিশেষ কৃতিত্বের জন্য এর আগেও শিরোনামে উঠে এসেছেন। দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান আইআইটি দিল্লি থেকে পাস করেন তিনি। ২২ বছর বয়সে তিনি আইএএস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করেন। আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।