This Article is From Apr 22, 2020

লকডাউনে বন্ধ স্কুল-কলেজ! বাড়বে ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা: ইউনেস্কো

বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত। মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তারপরেই আছে ইতালি  ও স্পেন

লকডাউনে বন্ধ স্কুল-কলেজ! বাড়বে ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা: ইউনেস্কো

এই সংস্থার এক আধিকারিক দাবি করেছেন, লকডাউনের জেরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায়  বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫৪ কোটি পড়ুয়া প্রভাবিত হবে। (ফাইল ছবি)

নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্বব্যাপী চলছে লকডাউন (Lockdown)। বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সহ গণ পরিবহণ ও জমায়েত। এই আবহে অভিভাবকদের উদ্বেগের কথা শোনাল ইউনেস্কো (Unesco)। সাম্প্রতিক এই সংস্থার এক আধিকারিক দাবি করেছেন, লকডাউনের জেরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায়  বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫৪ কোটি পড়ুয়া প্রভাবিত হবে ।সেই আধিকারিকের তরফে দাবি করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রীরা। স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়বে। সমাজে বাড়বে লিঙ্গবৈষম্য। ইউনেস্কোর শিক্ষা শাখার প্রধান স্টেফানিয়া গিয়োনিনো পিটিআইকে এই কথা বলেছেন। তিন ই বলেন, "মরসুমের মাঝেই সংক্রমণের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। এই ঘটনায় প্রভাবিত হবে কিশোরী পড়ুয়ারা। বাড়বে স্কুলছুটের সংখ্যা। সামাজিক ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য বড় আকার ধারণ করবে। যৌন নিপীড়ন, বয়সের আগে বিয়ে কিংবা মাতৃত্বের মতো সমস্যার সম্মুখীন হবে কিশোরী পড়ুয়ারা।" 

“এতে সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে”, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলায় কঠোর আইন নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্যারিস থেকে ফোনে সাক্ষাৎকারে স্টেফানিয়া বলেন, "বিশ্বজুড়ে মোট পড়ুয়ার ৮৯% লকডাউন চলার কারণে স্কুল যেতে পারছে না। স্কুল আর বিশ্ববিদায়লয়ের মিলিয়ে প্রায় ১৫৪ কোটি পড়ুয়া ঘরে বসে। যাদের মধ্যে ৭৪ কোটি ছাত্রী। এই ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। যেখানে শিক্ষার মৌলিক অধিকার একটা লড়াইয়ের মতো।" তিনি আরও জানিয়েছেন, যারা শরণার্থী শিবিরে রয়েছে, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া তাঁদের কাছে আরও কঠিন।

রেশন বিতরণ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ

তাঁর পরামর্শ, "অধিকাংশ দেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু ওদের একটু ভাবা দরকার সঙ্কট কাটলে ছাত্রীদের ওপর যে প্রভাব আসবে, তা সামলানোর কৌশল কী? এই নিয়ে একটু বসা দরকার কৌশল নির্মাতাদের।" বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত। মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তারপরেই আছে ইতালি  ও স্পেন। 

.