ওই ছাত্রী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তদের ভিডিওটিতে ডিলিট করে দিতে বলা হয়
হাইলাইটস
- ওই ছাত্রীর পানীয়ে কিছু মিশিয়ে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়
- অভিযুক্তরা প্রতারণা করেই চলেছিল এবং যৌনতা করতে চাইছিল: পুলিশ
- কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও ফল পায়নি ওই ছাত্রী
অন্ধ্রপ্রদেশ: অন্ধ্রপ্রদেশের এক 22 বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী তার সিনিয়রের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ আনল। ধর্ষণ করার পর পুরো ওই ধর্ষণের মুহূর্তের ভিডিও করে সেই ভিডিওটি নিয়ে তাকে প্রতারণা করার অভিযোগও ওই সিনিয়রের বিরুদ্ধে এনেছে ছাত্রীটি। পুলিশকে ওই ছাত্রীটি জানায়, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তার দুই সিনিয়র তাকে একটি জন্মদিনের পার্টিতে নিয়ে যায়। সেখানে পানীয়ের ভিতর কিছু মিশিয়ে দিয়ে তাকে তা জোর করে খাইয়ে দিয়ে ধর্ষণ করে দুজনে মিলে। সেই ধর্ষণের ভিডিও করে ওই অভিযুক্ত দুজন। তারপর ছাত্রীটিকে ওই ভিডিও দেখিযে হেনস্তা করা শুরু হয় এবং তা চলতেই থাকে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এই বছরই কলেজ থেকে পাশ করে বেরিয়েছে তারা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও করা এবং তা দেখিয়ে প্রতারণা করার মামলা রুজু করেছে।
তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার কথা কলেজ কর্তঁপক্ষকেও সে জানিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই ছাত্রীটি। কৃষ্ণা জেলার আগ্রিপল্লীতে তার কলেজ। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে পুলিশকে কিছু জানানোর প্রয়োজনবোধ করেননি। তার বদলে তাঁরা অভিযুক্তদের ওই ভিডিওটি ডিলিট করে দিতে বলেন এবং ধর্ষিতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বলে অভিযোগ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ কেবল জানিয়েছিল তাঁরা খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু, আসলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ধর্ষিতার পরিচয় এবং ছাত্রদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্যই পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
যদিও, কলেজের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করে অভিযুক্ত এবং ধর্ষিতার মধ্যে পারস্পরিক সন্ধি করে নেওয়ার পরও বিপত্তি শেষ হয়নি। কুড়ির কোঠায় বয়সী দুই অভিযুক্ত ভামসি ও শিবা রেড্ডি ওই ভিডিওটি তাদের বন্ধু এবং ফোনের কনট্যাক্টে থাকা অনেকের সঙ্গেই শেয়ার করে। যার ফলে ধর্ষিতা আরও বিপদের মধ্যে পড়ে যায়।