রাজনীতিবিদ আর বলিউড তারকারা এই ঘটনার নিন্দা করেন। (এএফপি)
হাইলাইটস
- এই ঘটনার সর্বত্র ভাবে নিন্দা হওয়া উচিত।
- জেএনইউ হামলা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
- অভিযুক্তদের পরিচয় প্রকাশ করা উচিত, দাবি করেন অনিল কাপুর
মুম্বই: জেএনইউ-র (JNU) হিংসায় এতটাই মানসিক যন্ত্রনা পেয়েছি যে সারা রাত ঘুমোতে পারেনি। জেএনইউ হামলার সমালোচনায় এভাবে সরব হলেন বলিউড (Bollywood) অভিনেতা অনিল কাপুর।রবিবারই এই হামলার পর নিন্দায় সরব হয়েছিলেন, শাবানা আজমি, অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা, রাজকুমার রাও, জোয়া আখতারের মতো তারকারা। এবার সেই সারিতে এসে দাঁড়ালেন অনিল কাপুর (Anil Kapoor)। এই ঘটনার সমালোচনায় তিনি বলেন, 'এই ঘটনার সর্বত্র ভাবে নিন্দা (Condemn) হওয়া উচিত।অত্যন্ত বেদনা এবং আতঙ্কের ঘটনা। যা আমি দেখেছি, তাতে বিব্রত হয়ে সারা রাত (Whole Night) আমি ঘুমোতে পারিনি।' পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনিল কাপুর আরও বলেছেন, হিংসা থেকে কিছু পাওয়া যায় না। যারাই এটা করেছে, তাদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা উচিত।
রবিবারই কান্নায় ভেঙে পড়ে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন স্বরা ভাস্কর। অবিলম্বে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে চলা হিংসার রুখতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য এস জয়শঙ্কর আর নির্মলা সীতারমন এই ঘটনার নিন্দা করে টুইটও করেছেন। পুলিশকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পাশাপাশি চলছে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের পালা।
অভিযোগ, জেএনইউ-কাণ্ডে বিশেষ কোড-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই কোড-ওয়ার্ড বলে দিচ্ছিল কার ওপর, কীভাবে হামলা করতে হবে। কারা ছাড় পাবেন। জেএনইউর ছাত্র সংসদ সূত্রে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, রবিবারের হামলায় যেমন বহিরাগত ছিল, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও যুক্ত ছিল। রাতের অন্ধকারের সুযোগে, মুখোশ পরে কোড-ওয়ার্ড ব্যবহার করে তারা এই সুপরিকল্পিত কার্যসিদ্ধি করেছে বলে আক্রান্ত পড়ুয়াদের দাবি।
পাশাপাশি এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর পাল্টা দাবি, পরীক্ষার ফিজ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী পড়ুয়ারা। যে সব পড়ুয়া ফিজ বৃদ্ধির পক্ষ নিয়ে অনলাইন ফর্ম পূরণ করছিলেন, ওই পড়ুয়ারা তাঁদের বাধা দেয়। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে একটা দ্বন্দ্বের পরিবেশ ছিল। কিন্তু রবিবার ওই বামপন্থী পড়ুয়ারা পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালায়। সেই সময় হস্টেলে উপস্থিত কিছু সংখ্যক এবিভিপি সমর্থক ওই হামলার মুখে পড়েন। সে সময় সাদা পোশাকে মাত্র ১০ জন পুলিশকর্মী ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, এই হামলা প্রতিহত করা।
এমনকী, যে সার্ভারে ফর্ম পূরণ চলছিল, তাতেও ভাঙচুর করেন বামপন্থীরা ছাত্ররা। এরপর এবিভিপি ছাত্রদের ওপর হামলার খবর বাইরে চাউর হতে, বিকেল ৫টা নাগাদ বহিরাগতদের জমায়েত বাড়ে। এরপরেই ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ছড়িয়ে পড়ে পাল্টা হামলা, দাবি করেছে এবিভিপির একটি সূত্র।
এদিকে পুলিশের তরফে দাবি, ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ সহ-উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছিল। যদিও, ততক্ষণে অভিযুক্তরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ আক্রান্ত পড়ুয়াদের।দিল্লির এইমস সূত্রে খবর,পড়ুয়া ও অধ্যাপক মিলিয়ে প্রায় ৩৫ জন চিকিৎসাধীন। যাঁদের মধ্যে প্রায় ৭-৮ জনের অবস্থা আঙ্কাজনক। তালিকায় রয়েছেন ছাত্রসংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও।
(PTI থেকে সংগৃহীত)