এর আগে দু'বার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন অশোক গেহলত
নিউ দিল্লি ও জয়পুর: দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেছেন অশোক গেহলত ও শচীন পাইলট। সূতের খবর রাজস্থানের আগামী মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে গিয়ে আছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলত। অন্যদিকে, জয়পুরেও আজ একটি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের নয়া আইন প্রণেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নেতার নাম ঘোষণা করবেন।
রাজস্থান কংগ্রেসের প্রধান শচীন পাইলট জানিয়েছিলেন রাজ্যের শীর্ষ পদের জন্য প্রতিযোগিতায় নেই তিনি। তিনিই আজ রাহুল গান্ধীর সাথে প্রথম দেখা করেন এবং বৈঠক শেষে বেরিয়ে জানান "ভাল বৈঠক হয়েছে", এনডিটিভিকে জানিয়েছে বিশেষ সূত্র। রাজস্থানে দুইবারের মুখ্যমন্ত্রী ৬৭ বছরের অশোক গেহলত শচীনের পরেই রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করতে যান। নিজের রাজনৈতিক জীবনের একেবারে শুরুর দিকে রাহুল গান্ধীর বাবা রাজীব গান্ধীই রাজস্থানের জন্য তরুণ নেতা হিসাবে বেছে নেন অশোককে। আজ রাহুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে দৃপ্ত ভঙ্গিতেই বেরিয়ে আসতে দেখা যায় এই নেতাকে। দিল্লি থেকে বেরিয়ে সোজা জয়পুরের উদ্দেশ্যে বিমান ধরেন তিনি।
৪১ বছর বয়সী শচীন পাইলট সেই সময়ে কংগ্রেসকে ধরে রাখতে বিশেষ দায়িত্ব নিয়েছিলেন যখন দল রাজস্থানে নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে। মরুদেশে কংগ্রেসকে একপ্রকার পুনর্নির্মাণ করেন তিনি। ২০১৩ সালের রাজ্য নির্বাচনে কংগ্রেসের পতনের পরে শচীনকে রাজস্থান কংগ্রেসের প্রধান নির্বাচিত করা হয়। ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের জন্য তিনি পাঁচ লাখ কিলোমিটার প্রচারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেন।
কিন্তু মঙ্গলবারে রাজস্থানে ভোট গণনা বেশ চিন্তাতেই ফেলেছিল কংগ্রেসকে। শচীন পাইলট এবং কংগ্রেস জিতলেও প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সঙ্গে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এই রাজ্য নির্বাচন আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্যও দুই দলের পক্ষেই এক সতর্কবার্তা যেন।
মনমোহন সিং সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শচীন পাইলট বারবার জানিয়েছিলেন যে রাজস্থানের নবনির্বাচিত কংগ্রেস আইন প্রণেতাদের অধিকাংশই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের নির্বাচনের জন্য উদ্বিগ্ন নেতারা জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অশোক গেহলতকেই সমর্থন করেছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন দলীয় প্যানেল ও প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন।