हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Feb 15, 2020

"বাবা-মায়ের জন্মস্থান না জানলে শরণার্থী শিবিরে থাকতে হবে": অশোক গেহলট

CAA protest: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, "আমি যদি বিশদ বিবরণ না দিতে পারি, তবে আমাকেও ডিটেনশন সেন্টারে থাকতে বলা হবে"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

Highlights

  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরব হলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট
  • কেন্দ্রীয় সরকার ওই আইন প্রত্যাহার করুক, দাবি তাঁর
  • প্রয়োজনে তিনি ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে থাকবেন, বললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী
জয়পুর:

দেশের শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্রীয় সরকার, এমন দাবি তুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এমনিতেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা (CAA) সারা দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দিল্লির শাহিনবাগে গত দু'মাস ধরে প্রতিবাদ চলছে। সিএএ-র বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস (Anti CAA protest) করেছে, রাজস্থান তাদের মধ্যে অন্যতম। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভকারীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও (Ashok Gehlot)। শুক্রবার, তিনি হঠাৎ করেই জয়পুরের বিক্ষোভস্থলে পৌঁছন যেখানে বহুদিন ধরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের (NRC) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। 

সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে তিনি বলেন, "এনডিএ সরকারের উচিত এই আইনটির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা। এটি সংবিধানের মূল ধারার পরিপন্থী। সরকারের উচিত এই আইনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া যাতে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় থাকে"।

"সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিয়ে চলুন": সিএএ প্রসঙ্গে বিজেপিকে জোটসঙ্গীর পরামর্শ

Advertisement

তিনি বিক্ষোভকারীদের এও আশ্বাস দেন যে, বিক্ষোভকারীদের পাশে আছে গোটা কংগ্রেস দল, পাশে আছে রাজস্থান সরকার। তিনি এ কথাও বলেন যে, প্রয়োজনে ডিটেনশন সেন্টারে প্রথম ব্যক্তি হিসাবে তিনিই যাবেন।

"'আমি যদি আমার (বাবা-মায়ের) বিস্তারিত বিবরণ দিতে না পারি, তবে আমাকেও ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে থাকতে বলা হবে। আমি আমার বাবা-মায়ের জন্মস্থান জানি না। আশ্বাস দিচ্ছি, যদি এমন পরিস্থিতি আসে তবে আমিই প্রথম ওই ডিটেনশন সেন্টারে যাব"। রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার পর প্রচুর হাততালি পড়ে সেখানে।

জয়পুরে সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষ

২০১৫ এর আগে তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপিড়নের কারণে ভারতে আসা অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে। এই আইনে সরকার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা, এবং আইনটিকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বলেও তোপ দাগা হয়েছে।

Advertisement

‘‘হিংসা নয়, ধৈর্যই জয়ের চাবিকাঠি'': জামিয়ায় অনুরাগ কাশ্যপ

দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের মতো রাজস্থানের তরফ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে যে কিছুতেই সে রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না।

Advertisement