উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ পুলিশের
আলিগড়: নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের (Anti-Citizenship Law Protesters) সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Uttar Pradesh's Aligarh) কোতয়ালি এলাকা, পাথর ছোঁড়া, একটি দোকানের একাংশ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিকের বাইকেও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এই সংঘর্ষের পরেই, সন্ধে ৬টা থেকে ৬ ঘন্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য একটি থানার বাইরে তাঁবু খাটানোর অনুমতি চান কয়েকজন বিক্ষোভকারী, স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিকের গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে।
তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে পুলিশ।
নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ উত্তরপূর্ব দিল্লিতে : ১০টি তথ্য
ঘটনার পর, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, আলিগড়ের জেলা শাসক চন্দ্রভূষণ সিং বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, এবং ভিড় হঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “বিকেল ৫টা নাগাদ স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিকের গাড়িতে পাথর ছোঁড়া হলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। তারপরেই, আমাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা...তাদের হঠাতে আমাদের কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুঁড়তে হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে”, পাশাপাশি তিনি জানান, ভিড় জমাতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভুমিকাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে রাফ। জেলাশাসক বলেন, “আমরা শান্তি বৈঠক করেছি এবং জামা মসজিদের ইমাম সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে বলেছি”।
আলিগড়ের দিল্লি গেট এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই সংঘর্ষ হয়, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সেখানেই ২৪ দিন ধরে চলছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।
শাহিনবাগের অন্য ৫টি রাস্তা বন্ধ রেখেছে পুলিশ: মধ্যস্থতাকারী
শনিবার, সেখানে বিক্ষোভরত মহিলারা, সেখানে বিক্ষোভের জন্য তাঁবু খাটানোর অনুমতি চায় পুলিশের থেকে। যদিও সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি, এবং ক্ষুব্ধ মহিলারা সঙ্গে সঙ্গে কোতয়ালি থানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আলিগড়ের জেলাশাসক জানান, সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভরত মহিলাদের অনুরোধ করে পুলিশ, যদিও, তা করতে অস্বীকার করেন মহিলারা। এরপর, রবিবার জোর করে মহিলাদের তুলে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
এদিনই নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে উত্তর পূর্ব দিল্লি জাফরাবাদ এলাকায়, শনিবার রাতে সেখানে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, যদিও বিক্ষোভকারীদের এখনও হঠানো যায়নি।