This Article is From Jan 28, 2020

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ সিএএ-বিরোধী পড়ুয়াদের

সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ সিএএ-বিরোধী পড়ুয়াদের

রাজ্যপালকে ‘বিজেপির পুতুল’ বলেও অভিহিত করে প্রতিবাদীরা।

ফের ছাত্র বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে (Calcutta University Convocation) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে একদল পড়ুয়া (Anti-CAA) রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে সমাবর্তনে তাঁর উপস্থিতির বিরোধিতা করে। সমাবর্তনের স্থান নজরুল মঞ্চে বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা পড়ুয়ারা জোর করে ঢুকে পড়ে স্লোগান দিতে থাকে। রাজ্যপালকে ‘বিজেপির পুতুল' বলেও অভিহিত করে তারা। পরিস্থিতি দেখে রাজ্যপালকে নিকটবর্তী গ্রিন রুমে নিয়ে যায় নিরাপত্তা কর্মীরা। এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অতিথি ছিলেন অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের সমাবর্তনে সাম্মানিক ডি.লিট দেওয়ার কথা অভিজিৎকে। সমাবর্তনের ভাষণ দেওয়ার কথা তাঁর।  

"ঐতিহাসিক অবিচারকে সংশোধন করতেই CAA আনা হয়েছে", বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

এক প্রতিবাদী সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানান, ‘‘আমরা চাই রাজ্যপাল ফিরে যান। এই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকুন, তা আমরা চাই না। ইনি বিজেপির পুতুল। আমরা সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে।'' ওই প্রতিবাদী নিজেকে পড়ুয়া বলে বর্ণনা করেন।

আর এক প্রতিবাদীর কথায়, ‘‘রাজ্যপাল এখান থেকে চলে গেলেই আমরা ফিরে যাব। আমাদের সমস্যা একমাত্র রাজ্যপালকে নিয়েই।''  

''একদলীয় শাসনের রাজ্যগুলিই CAA-বিরোধী প্রস্তাব পাস করেছে": অজিত পাওয়ার

প্রতিবাদীদের হাতে ছিল একাধিক পোস্টার। তার একটিতে লেখা— ‘বিজেপি এজেন্ট রাজ্যপাল, আপনি আপনার হাত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে সরিয়ে নিন।'

এদিনের প্রতিবাদী পড়ুয়াদের দাবি, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদ করতেই এই পদক্ষেপ তাদের।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। গত ডিসেম্বরে এই আইন সংক্রান্ত বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। 
 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.