This Article is From Jan 22, 2020

রাতভর সিএএ বিরোধী ধর্না ধর্মতলায়, চলছে বুধবারও

শহরের বিভিন্ন অঞ্চল ও হাওড়া থেকে আগত প্রতিবাদীরা জড়ো হন কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের সামনে। স্লোগান ও গানে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

রাতভর সিএএ বিরোধী ধর্না ধর্মতলায়, চলছে বুধবারও

শহরের বিভিন্ন অঞ্চল ও হাওড়া থেকে আগত প্রতিবাদীরা জড়ো হন কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের সামনে। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • ধর্মতলায় রাতভর সিএএ বিরোধী ধর্না
  • বুধবার পর্যন্ত এই ধর্না চলবে বলে জানিয়েছে প্রতিবাদীরা
  • তেরঙা জাতীয় পতাকা ও পোস্টার সঙ্গে নিয়ে ধর্নায় হাজির ছিল প্রতিবাদীরা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও প্রস্তাবিত এনআরসি-এনপিআর (NRC-NPR) বিরোধী ধর্নায় (Anti-CAA Protest) ধর্মতলায় (Esplanade) রাত জাগল হাজার হাজার প্রতিবাদী। অসংখ্য তেরঙা জাতীয় পতাকা ও পোস্টার সঙ্গে নিয়ে ধর্নায় হাজির ছিল প্রতিবাদীরা। শহরের বিভিন্ন অঞ্চল ও হাওড়া থেকে আগত প্রতিবাদীরা জড়ো হন কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের সামনে। স্লোগান ও গানে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। প্রতিবাদীদের ভিড়ে পড়ুয়া-শিক্ষক ও নানা পেশার মানুষকে দেখা যায়। বিকেল থেকেই জমতে থাকে ভিড়। তালতলা থেকে জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন সইদ আফরোজ। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকার চেষ্টা করছে ধর্মীয় দিক দিয়ে মানুষকে বিভক্ত করে দেশের অর্থনীতির খারাপ অবস্থা থেকে মানুষের নজর সরিয়ে দিতে।''

দার্জিলিংয়ে সিএএ-এনআরসি বিরোধী মিছিলে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আর এক প্রতিবাদী, ছাত্রী রুকসানা হামিদ বিস্ময় প্রকাশ করে জানাচ্ছেন, যেভাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদকে উপেক্ষা করছে কেন্দ্রীয় সরকার তাতে তিনি স্তম্ভিত। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনে স্তম্ভিত যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, যতই প্রতিবাদ হোক সিএএ কোনও মূল্যেই প্রত্যাহার করা হবে না। কী করে জনতার কণ্ঠস্বরের সামনে এমন অসংবেদনশীল হতে পারেন তাঁরা?''

এক যৌথ ফোরামের আহ্বায়ক রতন বসু মজুমদার জানাচ্ছেন, এই গণ বিক্ষোভ চলবে বুধবার পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আদালতের প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকব এখান থেকে। এবং আদালত কী বলল তার উপর নির্ভর করবে আমাদের পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি।''

CAA & NRC: হিম্মৎ থাকলে প্রয়োগ করে দেখান: অমিত শাহকে প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ

গত মাসে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। তৈরি হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। ওই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। 
 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.