রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক দিন আগে তাতে একটি পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দুর্নীতি বিরোধী ধারাটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতির বন্ধন থেকে মুক্ত করার কথা বলে ক্ষমতায় আসা একটি সরকারের পক্ষে এটি অভাবনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। রাফাল নিয়ে এর আগেও একটি সাড়া জাগানো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তা নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। সেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বাইরে গিয়ে রাফাল সংক্রান্ত সমঝোতা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এই দাবির নেপথ্যে একটি সরকারি নোটের উল্লেখ করেছিল তারা। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিরক্ষা সচিব প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে নোট পাঠিয়ে এ কথা জানান।
.প্রতিবেদনে বলা হয়েছে একদম শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে চুক্তিতে বদল আনা হয়েছে। পত্রিকার সম্পাদক এন রাম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘ কার স্বার্থে একদম শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে বদল করা হল? প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় থাকলে ভারতীয় বায়ুসেনার সুবিধা হত, সেটি বাদ দেওয়া হল কেন?'
Promise Day 2019: প্রতিশ্রুতি দিবসে ভালোবাসার মানুষকে শায়েরি দিয়েই কথা রাখার কথা দিন
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল ২০১৬ সালে চুক্তিতে আটটি বদলের কথা বলেছিল।
প্রথা মেনে রাফাল চুক্তিটির অনুমোদন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে থাকা নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি।
এই আটটি বদলের মধ্যে ভাইস অ্যাডমিরাল অজিত কুমারের সই করা একটি নোট নিয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে। তাতে সাপ্লাই প্রোটোকলের সঙ্গে জড়িত সংস্থা গুলির অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৩ সালে ইউপিএ আমলে রাফাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কংগ্রেসের দাবি ক্ষমতায় এসে চুক্তি বদলে দেয় বিজেপি এবং এতেই একটি সংস্থাকে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারটা নিয়েই সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস।