Hydroxychloroquine: করোনা প্রতিরোধে ম্যালেরিয়া বিরোধী এই ড্রাগটি ব্যবহারে সম্মতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- ভারতে মোট কোভিড- ১৯ আক্রান্ত ২.১৬ লক্ষ জন মানুষ
- তবে এদেশে করোনা মোকাবিলায় ভালো ফল দিয়েছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন
- এবার ম্যালেরিয়া বিরোধী ওই ড্রাগের পক্ষেই সওয়াল করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
জেনেভা: করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) আটকাতে আগেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পক্ষে সওয়াল করেছিল ভারত। এদেশে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারও করা হচ্ছিল ওই ম্যালেরিয়া বিরোধী ড্রাগটি (Coronavirus Drug)। এবার ওই ওষুধের (Hydroxychloroquine) ব্যবহারে সম্মতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO)। বুধবার 'হু'-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে করোনা ভাইরাসের (COVID -19) চিকিৎসায় ফের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস বলেছেন, “করোনা ভাইরাসের মৃত্যু নিয়ে যে তথ্য আমাদের কাছে এসেছে তার ভিত্তিতে আমাদের এক্সিকিউটিভ গ্রুপ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চালু করার কথা জানিয়েছে”।
অথচ গত ২৫ মে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বলা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। এমনকী করোনা (COVID-19) রোগীর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া বিরোধী এই ড্রাগটির পরীক্ষামূলক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল তারা। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'।
নবান্নের ২ গাড়ির চালক করোনা পজিটিভ, স্যানিটাইজ করা হচ্ছে গোটা ভবন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে তাদের এক্সিকিউটিভ দল গত সপ্তাহে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ট্রায়াল সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও মৃত্যুর হার পর্যালোচনা করে কমিটির সদস্যরা ফের এই ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে। 'হু' -এর প্রধান সাফ জানিয়েছেন যে, পর্যালোচক দল সেই সময় এই ওষুধের তথ্য নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিল তাই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার তখন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তথ্য মেলার পর ট্রায়াল বন্ধ রাখার কোনও কারণ মেলেনি।
২৪ ঘণ্টায় আরও ৯,৩০৪ জনের শরীরে করোনার থাবা, মোট করোনা আক্রান্ত ২.১৬ লক্ষ
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে ওই ওষুধটি কোভিড -১৯ রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে সেসময় 'হু'-এর প্রধান জানান, “সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ছে। তাই যতদিন না রোগীর সুরক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, ততদিন করোনার কোনও চিকিৎসা পদ্ধতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা যাবে না”।
বুধবার আগের ঘোষণা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের উপর জারি সেই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল বলেন,”গত সপ্তাহে কার্যকরী সমিতি সাময়িকভাবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কারণ, এই ওষুধটি ব্যবহারের পর রোগীদের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তাই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই। কিন্তু গত এক সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার খতিয়ে দেখা গেছে যে আগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কোনও কারণ নেই। তাই আমরা আগের মতোই চিকিৎসা পদ্ধতি চালিয়ে যাচ্ছি”।