This Article is From Jul 24, 2019

বিরোধীদের অনুগত হয়ে কাজ করছে “রাষ্ট্রবিরোধী” বুদ্ধিজীবীরা, বললেন দিলীপ ঘোষ

“জয় শ্রীরাম” স্লোগান “উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধের হুঙ্কার”-এ পরিণত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টরা।

বিরোধীদের অনুগত হয়ে কাজ করছে “রাষ্ট্রবিরোধী” বুদ্ধিজীবীরা, বললেন দিলীপ ঘোষ

বিজেপির লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, যেখানেই তাঁরা যাবেন, বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হবেন এই সমস্ত মানুষরা। (ফাইল)

কলকাতা:

দেশের সংখ্যালঘু, দলিতদের ওপর আক্রমণ এবং পিটিয়ে মারার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বিশিষ্টরা। সেই প্রসঙ্গে তাঁদের এবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই সমস্ত বিশিষ্টজনদের “রাষ্ট্রবিরোধী” বলে মন্তব্য করলেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগ করলেন, বিরোধীদের “অনুগত” হিসেবে কাজ করছেন তাঁরা। “জয় শ্রীরাম” স্লোগান “উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধের হুঙ্কার”-এ পরিণত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টরা। রামচন্দ্রের নাম ব্যবহার করে পিটিয়ে মারা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি দেশে বেশ কয়েকটি “দুঃখজনক ঘটনায়” উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টরা।

জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা

এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা চিঠি লিখেছেন, তাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহী”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আসলে তাঁরা বিরোধীদের অনুগত হিসেবে কাজ করছে, যাতে বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা যায়”।

বিজেপির লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, যেখানেই তাঁরা যাবেন, বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হবেন এই সমস্ত মানুষরা। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মীরা “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়ায়, তাঁদের “হত্যা করা হচ্ছে”, এবং সেই ঘটনায় তাঁরা চোখ বন্ধ করে রয়েছেন।

ভোটে পরাজিতরাই এখন অপরাধমূলক ঘটনার রাজনীতিকরণ করছেন, বললেন নাকভি

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বিশিষ্টদের চিঠিতে বলা হয়েছে, “দুঃখজনকভাবে জয় শ্রীরাম এখন উত্তেজনামূলক যুদ্ধের হুঙ্কারে পরিণত হয়েছে, তারফলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হচ্ছে এবং রাম নাম নিয়ে অনেক জায়গায় গণপিটুনির ঘটনাও ঘটছে। এটা দুঃখজনক যে, ধর্মের নাম নিয়ে হিংসার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে! এটা মধ্যযুগ নয়! রামচন্দ্রের নাম ভারতের বেশীরভাগ মানুষের কাছে পবিত্র। দেশের সর্বোচ্চ শাসক হিসেবে আপনার উচিত, রামনাম ব্যবহার করে এই ধরণের ঘটনা বন্ধ করা”।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “শাসকদলের সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। যেখানেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, শাসকদল কখনই দেশের সমার্থক হতে পারে না। এটা শুধুমাত্র আমাদের দেশের একটা রাজনৈতিক দল সম্পর্কে। ফলে সরকার বিরোধিতাকে কখনও রাষ্ট্রবিরোধিতার সঙ্গে সমান করা যায় না। যে পরিবেশে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা হয় না, সেখানেই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে...”।

প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্দ্বজনদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমাদের আশা, আমাদের এই প্রস্তাব –আমাদের দেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে, ভারতীয়রা উদ্বিগ্ন, আশঙ্কিত---এই ভাবেই নেওয়া হবে”।

 চিঠিতে সাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ এবং মনি রত্নম, সমাজকর্মী অনুরাধা কাপুর, সমাজকর্মী অদিতি বসু এবং লেখক অমিত চৌধুরী।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.