This Article is From May 23, 2018

"অন্তত 1 জনকে তো মরতেই হবে": স্টারলাইট-কান্ডের ভিডিওতে শোনা গেল পুলিশের গলা

স্টারলাইট বিরোধী বিক্ষোভ চলছিল যেখানে, তার থেকে খানিকটা দূরেই সাদা পোশাকে দাঁড়িয়েছিলেন তামিলনাড়ুর এক পুলিশ। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন একটি বাসের মাথায়

তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে স্টারলাইট নিয়ে বিক্ষোভের ভিডিওতে শোনা গেল পুলিশের চমকে দেওয়ার মতো কথা।

তুতিকোরিন, তামিলনাড়ু: স্টারলাইট বিরোধী বিক্ষোভ চলছিল যেখানে, তার থেকে খানিকটা দূরেই সাদা পোশাকে দাঁড়িয়েছিলেন তামিলনাড়ুর এক পুলিশ। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন একটি বাসের মাথায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছিল, তিনি অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে লক্ষ্য স্থির করার চেষ্টা করছেন। ওই মুহূর্তে রাস্তায় ছিলেন আরও অজস্র পুলিশ। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট পরেছিলেন, কেউ পরেছিলেন   খাকি পোশাক, আর বাকিরা ছিলেন বিক্ষোভ আটকানোর জন্য। ওই সময় কেউ একজন ঠিক করেন, বাসের ছাদে একজন পুলিশকে পাঠাতে হবে। নিউজ এজেন্সি এএন আইয়ের প্রকাশ করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, একদম প্রশিক্ষিত কম্যান্ডোর কায়দায় ওই পুলিশকর্মী বাসের ছাদ থেকে চিৎকার করে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নিয়ে নিজের পজিশন ঠিক করছেন।

এবং তারপরই শোনা যায় সেই চমকে দেওয়ার মতো কথা: "অন্তত একজনকে তো মরতেই হবে"।

এর কয়েক মুহূর্ত পরেই ওই পুলিশকর্মীটি প্রথম গুলিটি ছোঁড়েন।

গুলিটি তিনিই ছুঁড়েছেন কি না, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে, তিনি না ছুঁড়লেও যে অন্য কেউ ছুঁড়েইছে, সেটা একদম পরিষ্কার।

তুতিকোরিনে পুলিশের গুলি চালানো নিয়ে যতক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী তদন্তের নির্দেশ দেন মঙ্গলবার,  ততক্ষণেই ন'জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই ঘটনাকে 'হত্যা' এবং 'রাজ্য-নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাস' বলে অভিহিত করেছেন। রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত শোকবার্তা দিচ্ছেন যখন, সেই সময়েই 11 জন মানুষের মৃত্যুর খবর আসে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই গুলি চালানোর ঘটনায় অন্তত 12 জনের মৃত্যু হয়েছে।

তুতিকোরিনের বন্দর শহর, যাকে এখন থোটুকুড়ি বলেও ডাকা হয়, তা, স্টারলাইট কারখানার বিরুদ্ধে চলা 100 দিনের প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের সাক্ষী। এটি ভারতের অন্যতম বৃহত্তম কপার কারখানা। যার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল প্রবলভাবে। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল যে, এই কারখানার ফলে ভূ-গর্ভস্থ জল বছরের পর বছর ধরে দূষিত হচ্ছে। কিন্তু, এই প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত হয় এই বছর থেকে, যখন কারখানা কর্তৃপক্ষ উৎপাদন দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেন। 

রাজ্য পরিবেশ দফতরের নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরে 400000 টন কপার উৎপাদন করা এই কারখানাটি গত 50 দিনের ওপর বন্ধ রয়েছে।
.