This Article is From Feb 25, 2020

"শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন," দিল্লির হিংসা প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন। ভুবনেশ্বর উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

তিনি বলেছেন, দিল্লিতে কী চলছে, তার অপর আমরা নজর রাখছি। কোনওরকমের হিংসা সমর্থনযোগ্য নয়। (ফাইল ছবি)

Highlights

  • শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন। দিল্লি হিংসার প্রেক্ষিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
  • মঙ্গলবার তিনি ভুবনেশ্বর উড়ে যান অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে
  • "আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি", বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা:

শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখুন। ভুবনেশ্বর উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লি হিংসায় (Delhi Clash) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১। সিএএ-পন্থী বনাম বিরোধীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র উত্তর-পূর্ব দিল্লি। জাফরাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় ছড়িয়েছে সেই হিংসা। এই সংঘর্ষে মৃতদের মধ্যে এক পুলিশ কনস্টেবল আছেন। আহত ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। তার মধ্যেই মধ্যেই মঙ্গলবার শান্তি বজায়ের আবেদন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (WB CM)। তিনি বলেছেন, দিল্লিতে কী চলছে, তার অপর আমরা নজর রাখছি। কোনওরকমের হিংসা সমর্থনযোগ্য নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ডাকে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বর উড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

‘অসংবেদনশীল' নেতাদের নির্বাচিত করারই মূল্য চোকাচ্ছে মানুষ: পি চিদাম্বরম

মঙ্গলবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সত্যি ওখানে কি ঘটছে বুঝতে পারছি না। অত্যন্ত উদ্বেগে আছি। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের জেরে উত্তরপূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়েছে। দফায় দফায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে দিল্লি পুলিশ। রায়ট গিয়ারে স্ট্যান্ডবাই আধা-সেনা। তারপরেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি সংঘর্ষ। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, দিল্লি ঘটনার আঁচ যাতে পশ্চিমবঙ্গে এসে না পড়ে তাই সতর্ক স্বরাষ্ট্র দফতর। রাজ্যের প্রতিটা জেলা ও থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। এদিন দাবি করেন রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক।এর আগে সিএএ ও এনআরসি আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ হয়েছিল রাজ্য। ট্রেনে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে পথ অবরোধ, সব দেখেছেন রাজ্যবাসী। তাই সেই উত্তেজনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লিতে সংঘর্ষে মৃত বেড়ে ৯, সেনা নামাবে না সরকার, জানাল সূত্র

Advertisement

অপরদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে প্রার্থনা করতে দেখা গেল মঙ্গলবার। তিনি সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, হিংসা বন্ধ করতে। মন্দির ও মসজিদে শান্তির প্রার্থনারও অনুরোধ জানান তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আম আদমি পার্টির অন্যান্য নেতাদেরও এদিন রাজঘাটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। আহতদের দেখতে একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘হিন্দু, মুসলিম, পুলিশদের খুন করা হচ্ছে। বাড়ি, দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কে সাহায্য করছে? কেউ না। এই পাগলামি বন্ধ হওয়া উচিত।'' সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া হিংসা থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লি কার্যত এক যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় সোমবার। ঘটে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা। ভাঙচুর চলে দোকান, বাজার, বাড়ি, গাড়িতে। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement