ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানালেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘‘অত্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ’’।
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতার নিন্দা করে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) বলেছিলেন, ‘‘তারা নেতা নয়, যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে।'' শুক্রবার তিনি জানালেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘‘অত্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ''। এবং এটি চালিত হয় ইনসানিয়ত অর্থাৎ মানবতা ও শারাফত অর্থাৎ শিষ্টাচার দ্বারা। এদিন দিল্লিতে মানব অধিকার ভবনে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের উপরে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। সাংবাদ আইএএনএস সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান এদিন বলেন, ‘‘আমরা কেবল আমাদের নিজেদেরই নয়, প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রেও মানবাধিকার নিশ্চিত করি। যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে জেনেভা সম্মেলন অনুযায়ী আমরা ব্যবহার করি।''
তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ-বিরোধী অভিযানে আমাদের বিদ্রোহীদের চিহ্নিত করতে হয় অন্যের ক্ষতি না করে। এটা একমাত্র মানুষের হৃদয় জয় করেই করা সম্ভব। সেটা খুবই চ্যালেঞ্জের ও কঠিন হয়ে উঠেছে।''
তিনি বলেন, সেনা সদর দফতরে একটি মানবাধিকার শাখা খোলা হয় ১৯৯৩ সালে। তিনি জানান, এই শাখায় পুলিশকর্মীরাও থাকেন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে সে ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এসে বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, ‘‘নেতৃত্ব দেওয়া হল সকলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যখন আপনি এগোবেন সকলে অনুসরণ করবে। কিন্তু নেতা তারাই যারা মানুষকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা নেতা নয়, যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। যেমনটা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে লক্ষ করলাম। আমাদের শহর ও শহরতলিতে বিপুল বিক্ষোভ ও হিংসা ছড়াতে দেখলাম জনতাকে। এটা নেতৃত্ব নয়।''
বিরোধীদের অভিযোগ, সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য খুবই রাজনৈতিক, সেনাপ্রধানের পদটি নিরপেক্ষ এবং অরাজনৈতিক।
যদিও প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং জানিয়েছেন, “এর মধ্যে আমি কোনও রাজনীতি দেখতে পাইনি।”